দেশে তারেক রহমান ও হাওয়া ভবন নেই, দেশে কোন দূর্নীতিও নেই! এ কথায় অনেকে চমকে উঠবেন আবার অনেকে লেখককে চাপাবাজ ভাববেন। লেখাটি শুরু করছি শ্রদ্ধেয় নাঈম ভাইয়ের একটি উদ্ধৃতি দিয়ে আর তা হলো দূর্নীতি করতে ভবন বা অফিস লাগে না। যারা দূনীর্তি করতে পারেন তারা যে কোন স্থানেই দূর্নীতি করতে পারেন। নাঈম ভাইয়ের কথা একটু দেরীতে হলে তা প্রমাণিত হয়েছে। এখন যারা দূর্নীতি করতে তাদের কোন হাওয়া ভবন নেই্ বা তাদের মধ্যে তারেক রহমান নামেরও কেউ নেই। তত্ত্বধায়ক সরকারের সাকে প্রধান উপদেষ্ঠা বলেছেন, দেশ এখন বাজিকরদের হাতে। কারা এই বাজিকর। তারেক রহমান নাকি অন্য কেউ।
স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে তাহলে দেশব্যাপী প্রশাসনে নিয়োগে কেন এত দলীয় করনের অভিযোগ। প্রতিটি েেত্র কেন এত দূর্নীতি। কই বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া তো এখন কোথাও বক্তব্য দিতে গিয়ে কারো উদ্ধৃতি দেন নি। যাদের কারনে এই সরকার দূর্নীতির জালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ৪দলীয় জোট মতায় থাকাকালে গাজীপুরে এক জনসভায় বলেছিলেন, পুত্রের কথায় চলছে প্রশাসন আর ভাইয়ের কথা চলছে সেনাবাহিনী। তারা তো আজ আর তারা কেউ নেই সরকারী কোন দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বে, তাহলে কেন এত দূর্নীতির অভিযোগ।
আমি একজন সংবাদপত্রকর্মী হিসেবে দেশের বর্তমান সময়ে সরকারের সাথে যারা আছেন তাদের কাছে বিনয়ী ভাবে জানতে চাই এখন তো দেশে তারেক রহমান নেই। আর হাওয়া ভবনেরও অস্তিত্ত নেই। তাহলে পত্রিকার পাতায় প্রশাসনের কান্নার ছবি ছাপা হয় কেন। সাংবাদিকের কলমে কেন লেখা হয়, এলআর ফান্ডের টাকা উপষ্ঠোর পকেটে, মন্ত্রী কেন বলেন দলীয় লোক ছাড়া কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে না। কেন আমরা যারা কোন দল না করে পড়াশোনা করেছি তারা কি দোষ করেছি জাতির কাছে। আমরা একটি দলের ছত্রছায়ায় রাজনীতি না করার কারনে সরকারী চাকরী করতে পারব না। নাকি আমাদের বইয়ের পাতায় যা লেখা ছিল তা ভুল ছিল। তাই আমরা সরকারী চাকুরীর অযোগ্য !
প্রিয় পাঠক আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে, পাবনায় একটি নিয়োগ পরীা শুরু দিনে কি এমন ঘটনা ঘটলো যাতে করে জেলার প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত করা হলো। ওই কর্মকর্তারা কি তাদের ভাই বোনদের নিয়োগ দিয়েছিল।
গত ৮ অক্টোবর নাটোরে একজন উপজেলা চেয়ারম্যান খুন হয়েছে কেন? সেদিন কি এমন কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী চলছিল নাটোরে। যার কারনে দু’প উত্তেজিত হওয়ায় এঘটনা ঘটেছে। নাকি একপ অতি উৎসাহিত হয়ে অন্য পকে আক্রমন করেছে। শিাঙ্গনে নিজেদের মধ্যে খূনা-খুনির , উন্নয়ন কর্মকান্ডের টেন্ডার নিয়েও একই অবস্থা।
দিন যত যাচ্ছে ততই পুবের আকাশ পরিস্কার হচ্ছে। সত্য নামের একটি সূর্য উকি দিচ্ছে আর জানা দিচ্ছে, তা হলো যারা তারেক রহমান কে ঘিরে এতদিন কুৎসা রটিয়েছেন আসলে তারা নিজেরাও ততটা পরিস্কার নন। আর যারা এতদিন তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারকে দূর্নীতিবাজ বলতে বলতে মুখ ব্যাথা করেছেন তাদের বিরোধী প নয় এখন তাদের নামে কোন এমন গুরুত্বর অভিযোগ করেননি। কিন্তু রিক্সাওয়া, দিন মজুর আর সাধারন মানুষ কেন বলছে আমরা আর পারছি না। কেন মধ্যবিত্ত শিতি সন্তানের বাবা শেষ সম্বল ভিটে টুকু বিক্রি ছেলে চাকরীর জন্য টাকা ঘুষ দিয়ে হাহাকার করছেন?
এতসব ঘটনায় একটাই প্রশ্ন, তারেক রহমানের নামে এসব বিষেদাগার হত কেন? আসলেই দূর্নীতির অপরাধে নাকি তারেক রহমানের আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা। সাধারন মানুষ তাকে ভালবেসে ছিল এটাই তার অপরাধ! যা ধ্বংস করতে আজও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন কে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




