শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
নারীরা ভাই নারীর শত্রু
আমরা কিছু নই
তবুও মোরা চিপায় পরে
বলীর পাঁঠা হই।
বউ-শ্বাশুরী উভয় নারী
ঝগড়া করে তারা
সেই ঝগড়াটা উল্টে গিয়ে
স্বামীর কর্ম সারা।
নারী নারী হিংসা-হিংসী
মিথ্যা মামলা করে
সেই কেসেতে স্বামী বাছাধন
জেল খানাতে মরে।
হাতে মারে না কথায় মারে
লাগলে ঝগড়া ভাই
ওদের জ্বালায় সংসারেতে
অর্ধেক শান্তি নাই।
মাকে বলে কুটনী বুড়ি
সে নাকি খুব ভালো?
কথায় কথায় মায়ের নামে
মুখ করে যে কালো।
বউ-শ্বাশুরী ঝগড়া করে
বাজায় কেলেঙ্কারী
সংসারে সুখ কেমনে থাকে
থাকলে তাদের আড়ি?
যেই বউটি শ্বাশুরীর সাথে
হিংসা-বিদ্বেষ করে
দু’দিন পরে সেই চিপাতে
নিজেই আবার পড়ে।
ছেলের বউটি আসার পরেই
সেও তো কুটনী বুড়ি
বউয়ের নামে বললে কথা
খায় যে লাথি, গুড়ি।
চোখের পানি ছেড়ে ছেড়ে
দুঃখে তখন কাঁদে
যেই কাঁদনে শ্বাশুরী ছিল
সেও পরে সেই ফাঁদে।
নারীর কারণে মায়েরা আজ
পায়না খেতে ভাত
কষ্ট দেখে বউয়ের উপর
স্বামীরা তোলে হাত।
তাতেও নাকি পুরুষের দোষ,
মা কি নারী নয়?
মায়ের জন্য করলে খরচ
বউ ক্যান বেজার হয়?
বলেন তো ভাই সত্য করে
নারীর শত্রু কারা,
কাদের জন্য সংসারেতে
ঝগড়া-ঝাটির ধারা?
নারী যদি নারীর প্রতি
ধৈর্যশালী হয়
তাইলে কি আর তাদের মধ্যে
ঝগড়ার থাকে ভয়?
নারীরা ভাই নারীর শত্রু
জোর গলাতে কই
ওদের জন্যেই মোদের জীবন
তপ্ত বালুর খই।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৫