
(অনেক আগে টিভিতে প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সাক্ষাতকার দেখতে ছিলাম। তিনি সেই সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, আমি রাষ্ট্রীয় অফিসের কাজের চাপে রেস্ট নিতে পারি না, আমাকে রাত একট/দুইটা পর্যন্ত কাজ করতে হয়। এতো কাজের চাপের ভিতরও আমি পরিবারকে সময় দিয়ে থাকি। উদাহারণ স্বরুপ বললেন, আমার মেয়ের ঘরের নাতি তার দাদা বাড়ি থেকে বড় একটি মাছ এনে আমাকে লক্ষ্য করে বলল, “আজকে এই মাছটা মজা করে রান্না করবে এবং তুমি রান্না করব”। আমার হাতে তখন অফিসের অনেক কাজ তারপরেও আমি আমার নাতির কথা মতো সেই মাছ নিজেই রান্না করে দিলাম।
প্রধান মন্ত্রীর কথা শুনে একটা বিষয় বুঝতে পারলাম, রাজাকার/মুক্তিযোদ্ধা যে ঘরেই জন্ম হোক না কেন নানীদের কাছে নাতিদের আদরের কমতি থাকে না। দুই মেরুতে জন্ম নেয়ায় নাতিরাও অনেক সুবিধা ভোগ করে থাকে। মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষমতায় গেলে বলে আমি মুক্তিযোদ্ধার নাতি আবার রাজাকাররা ক্ষমতায় গেলে বলে আমি রাজাকারের নাতি। সাক্ষাতকারটি দেখার পরে তৃতীয় প্রজন্ম নাতিদের এমন সুবিধার কথা চিন্তা করেই এই কবিতাটি লিখেছিলাম।)
‘মুক্তিকার’
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
মুক্তিযোদ্ধার নাতনী তিনি
রাজাকারের নাতিন
দুই প্রজন্মে জন্ম নেয়ায়
বিশাল তাহার চিন?
মুক্তি যোদ্ধার ‘মুক্তি‘ নিলে
রাজাকারের ‘কার‘
দুইটি শব্দ এক করলেরে
নামটি ‘মুক্তিকার‘।
যুদ্ধের সময় রাজাকাররা
করছে জীবন নাশ
কিন্তু এখন দুই প্রজন্ম
একই ঘরে বাস।
উভয় দলের প্রজন্মতে
হচ্ছে মিলন যত
রাজাকারের মলিন মুখে
ফুটছে হাসি তত।
‘মুক্তিকারের’ মিলন মেলায়
হচ্ছে জন্ম যার
দুই দিকেতে শক্তি থাকায়
অনেক সুযোগ তার।
এই দিকেতে হামলা হলে
ওই দিকে যায় সরে
‘মুক্তিকারে’ জন্ম নেয়ায়
মারে না কেউ ডরে?
ছবিঃ ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



