চকচকে বিলবোর্ডে লাস্যরত তরুণীর মসৃণ পেট বরাবর কিছুক্ষণ চেয়ে থাকার পর টের পাওয়া গেল, স্ফুলিঙ্গটা নিভে গেছে এতদিনে।
বৈকালিক রোম্যান্সটা অনবরত মারা পড়ছে..
ঘোলাটে চশমায়, ল্যামিনেটেড মেন্যু কিংবা চকচকে পোষ্টারে। টেবিলের ওদিকে, সুবেশীর দীর্ঘায়িত আঙুলটি ঘুরছে কাপের চারপাশে। আক্রান্ত হলুদ রোদ এই প্রায় নির্জন ক্যাফের কাঁচ গলে কফির ফেনায় লুটিয়ে ঘুমাচ্ছে কাতর, নির্বিকার। সঙ্গিনীর মসৃণ গ্রীবায় আশ্রয় নেয়া একফালি রোদে টুকটাক কিছু শব্দ লেখা হচ্ছে কল্পনায়। এখন ওর দিকে নির্বিঘ্নে নিশ্চিন্তে চেয়ে থাকা যায় অনেকক্ষণ, সংকোচে গুটিয়ে যাবে না।
ফিরে যাই, ক'বছর আগে। যখন,
এই মেয়েটি আমার সময়গুলোকে ভীষণ শাদাকালো হবার অপরাধে অভিযুক্ত করেছিলো। সেটা মাথা নিচু করে মেনে নিয়ে চুক্তিপত্রে সই দিয়েছিলাম।
আঙুলটা স্থির হয়ে গেল, একটা দীর্ঘশ্বাস।
"একঘেয়ে লাগে?"
জরুরী একটা কিছু টের পেলাম, সঙ্গিনীও বেশ একঘেয়েমীতে ভুগছে এখন। আমি অপরাধীর মত হেসে দেই। বাইরে চেয়ে দেখি, ভাগ্যবান চাকুরেরা দলবেঁধে বেরিয়ে পড়ছে।
সহস্র পদক্ষেপের ছাড়পত্রে,
জ্যান্ত হয়ে উঠছে ফুটপাত।
-riz
23rd oct