somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভিক্ষা চাই না মা কুত্তা সামলাও টাইপ আবেদনমূলক পোস্ট।/:)X(X((

০৭ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক ছাত্র সংগঠন অন্যান্য দলের ছাত্রদের পেটাবে, দমন-নিপীড়ণ চালাবে এই ধারণা মনে হয় পুরনো হয়ে গেছে। এখন যা দেখা যাচ্ছে, দল ক্ষমতায় আসা মাত্র ময়দান ফাঁকা করে বিরোধী সংগঠনগুলো ভেগে যায়, আর বিনা বাধায় দোর্দন্ড প্রতাপে রাজত্ব চালানোর ছাড়পত্র পেয়ে যায় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্ররা। যেমনটা এখন করছে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের প্রশ্নহীন আধিপত্যের সুশীতল ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠবে নতুন নেতৃত্ব, জাতির ভবিষ্যত কান্ডারিরা। শিক্ষাঙ্গনগুলো জুড়ে বইবে শান্তির সুনিবিড় বাতাবরন; আহা, কি আনন্দ আজ আকাশে বাতাসে। কিন্তু একি? এই সুখের রাজত্বে কেন ভূতের দল হানা দিচ্ছে বারবার? কোন মামদো ভূতের আছরে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের 'গঠনমূলক' কাজের ঠেলায় পড়ে নিজেদেরই হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। একি কোন কালা জাদু, নয়া কিসিমের ষড়যন্ত্র, নাকি জলাতংক আক্রান্ত পাগলা কুকুরের অবিরাম কামড়াকামড়ি। কুচিন্তায় ভারাক্রান্ত আমার মন কেন জানি শেষটাতেই বারবার সায় দিয়ে যাচ্ছে। B:-)

গত কয়দিনে এনাদের পাগল হয়ে যাওয়ার কিছু নমুনা আমরা দেখতে পাচ্ছি। প্রথমে শুরু হয়েছিলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে হানাহানি, তারপর দেখলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের রাতভর ব্যাপক কোপাকুপি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ই বা আর বাকি থাকবে কেন? সেখানেও লাগলো সংঘর্ষ এবং ছাত্রশিবিরের রেকর্ডে ভাগ বসিয়ে রগ কাটাও দেখা হল। এরপর আবার দেখলাম বুয়েটে নিজেরা মারামারি করে একজন নতুন আসা ছাত্রকে তিনতলা থেকে নিক্ষেপ (অবশ্য অনেকে বলছে সে নিজেই লাফ দিয়েছে, কিন্তু তাতে ঘটনার ভয়াবহতার মাত্রা কি খুব একটা কমে?), এরপর আবার চট্টগ্রাম কমার্স কলেজের মারামরি। এ এক অন্তবিহীন পাঁচালি রে ভাই! বরিশাল পলিটেকনিকের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের একে অপরকে কোপানোর দৃশ্য মিডিয়ায় এসেছিলো, ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের দুপক্ষের রক্তক্ষয়ী মারামারিও মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তোলে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু আমাদের সোনার ছেলেদের তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই। মনুষ্যত্ব না থাকলে অবশ্য এসব চক্ষুলজ্জাটজ্জার ধার না ধারলেও চলে।

কিন্তু এভাবে আর কতদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী? নোংরা ছাত্ররাজনীতির শিকার হয়ে জানমাল খোয়ানোটাই কি এখন আমাদের মত সাধারন মানুষের ছেলেদের নিয়তি? বেশি দিন হয়নি আবু বকর মরেছিলো নিজের হলে বসে। তাঁর মত মেধাবীর রেখে যাওয়া শূন্যস্থান ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের পীড়া দেয় কিনা জানি না, তবে আমাদের কিন্তু মর্মপীড়া দেয়। কেননা তাঁর দিনমজুর পিতার পরিবারের মানুষগুলোর কান্না অহর্নিশ আমাদের চোখে ভাসে। আপনি অবশ্য গোস্বা করে বলেছিলেন এমন রক্তারক্তি অব্যাহত থাকলে আপনি ছাত্রলীগের সাথে আপনার সম্পর্ক ছিন্ন করবেন। কিন্তু আপনার সোনার ছেলেদের এইসব কাজকারবার আপনার ধমকিকে রীতিমত প্রহসনে পরিণত করেছে। এখনও ছাত্ররা মার খাচ্ছে, মাথা ফাটছে, রগ কাটা পড়ছে কেউ কেউ পরলোকে পৌঁছে যাচ্ছে আর ঘোর আঁধারে ঢেকে যাচ্ছে দেশ ও জাতির ভবিষ্যত। তাই আমাদের রাস্ট্রের কর্ণধার হিসেবে আপনার কাছে আবারো আকুল আবেদন জানাই, ছাত্রলীগ নামের এই পাগলা কুকুরদের আটকানোর পন্থা কি দয়া করে ভেবে দেখবেন? নিদেনপক্ষে একটা চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা গেলেও আমরা হয়তো শিক্ষাঙ্গনগুলোতে সুস্থ পরিবেশ ফিরে পেতাম। দেশের একজন অতি সাধারণ নাগরিক হিসেবে এই আর্জিটুকু আপনার বিবেচনার জন্য পেশ করলাম। ধন্যবাদ
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×