পাকিস্তান,
দেখে যাও, ৭১ এ যারা তোমাদের সহায়তা করেছিল, আমাদের মা বোনদের যারা তুলে দিয়েছিল তোমাদের হাতে, এই সবুজ বংলাকে যাদের সহায়তায় তোমরা রক্তে রঙ্গিন করেছিলে আজ তাদের বিচার হচ্ছে । তোমার সহযোগীর ফাসিকাষ্ঠে ঝুলাতে আজ বাংলার যুবা তরুণ আবাল বৃদ্ধ বণিতা এক হয়েছে প্রজন্ম চত্বরে । বাংলার দাবী একটাই রাজাকারের ফাসী চাই । ৭১ এ স্বাধীনতার জন্য যেমন বাংলার মানুষ কাধে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল আজ তাদের উত্তরসুরীরা আবার এক হয়েছে রাজাকারের ফাসীর দাবীতে । জানি এ খবর শুনে তোমার বুক আতঁকে উঠছে ।
কিন্তু শুনে রাখো, বাংলার মানুষ রাজাকারের ফাসী না দিয়ে ঘরে ফিরে যাবে না । আর তুমি পাকিস্তান এয়ারলাইন্স এর একটা প্লেন পাঠিয়ে দাও লাশগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য । না হলে বাংলার কুকুরের জন্য ওগুলো ফ্রাই করে খাওয়ানো হবে ।
সময় থাকতে তুমি বাংলার মানুষের কাছে করজোড়ে ক্ষমা চাও আর বাংলাদেশের সম্পত্তি বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দাও । জানো তো, বাংলার স্বাধীনতার ঠিক পূর্বে তোমার যে সকল সম্পত্তি বিদেশের মাটিতে ছিল , বাংলাদেশ তার অংশ পাওয়ার অধিকারী । তোমার গচ্ছিত তহবিলের একটি অংশও বাংলাদেশকে দিতে হবে । ১৯৮৩ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে তুমি এগুলো বাংলাকে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দায়বদ্ধ । তুমি ৭১ এ তোমার দেশের সেনাবাহিনীসহ যারা এদেশে যুদ্ধ আইন লঙ্ঘন করে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছিল তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাও । তা না হলে , তোমার যে অবস্থা , গনতন্ত্র চর্চা না করে তুমি কর তালেবানতন্ত্র, বিশ্বের ২য় ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছো তুমি ।
চিন্তা করো, সেদিন যদি তুমি আত্মসমার্পন না করতে , বাংলাকে যদি রেখে দিতে তোমার প্রদেশ হিসাবে তাহলে আজ বাংলার দামাল ছেলেদের হাতে থাকত না কোন বই ,তারা দেখত না ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সপ্ন বরং তাদের হাতে থাকত আজ ভারী ভারী অস্ত্র যা দিয়ে তুমি পবিত্র ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে গড়ে তুলতে পারতে জঙ্গিবাদ আর সন্ত্রাসের রাজত্ব । অনেক রক্তের বন্যা বওয়ায়ে তুমি চলে গেছো কিন্তু তোমার প্রেতাত্মা ভর করে আছে আজও বাংলার মাটিতে । শুনে রাখো, যে মাটিতে মিশে আছে সহস্র বুদ্ধিজীবীর নিথর দেহ , যে পদ্মা মেঘ্না যমুনায় বইছে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত সেই মাটিতে তোমার প্রেতাত্মাদের কোন স্থান নেই ।
মনে রেখো, ৭১এর দায় কখনও তোমার পিছু ছাড়বে না, পাকিস্তান
সহযোগীতায় প্রিয় বন্ধুবর প্রিন্স