সরকারের পা এত বাড়ছে যে, পায়ে এগিয়ে দিয়ে ঝগড়া করবে। আর জাতির বিবেকের কাছে জিগাবে 'কেন এই হরতাল, কেন এই সহিংসতা, বাসে কেন আগুন দিলো?
লীগ চোদার টাইম নাই ...জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগ এখন ভোটের রাজনীতি চোদায় !! পোষা ময়না ইমরান যতদিন ফ্যাঁসফ্যাঁসে গলায় জামায়াতের বিরুদ্ধে শপথ পাঠ করাইছিলো, যখন তারা জামায়াতের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বয়কটের আহ্বান জানাচ্ছিলো, যখন কুঁততে কুঁততে বলছিলো জামায়াতকে ২৬শে মার্চের আগে নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে, শেখ হাসিনা আনন্দিত ছিলেন। ভোট বাক্সে ভোট ঢুকছে আর ঢুকছে, স্রোতের মতো যুদ্ধাপরাধ সচেতন মানুষেরা নৌকায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে ফেলছেন, আনন্দে মাতোয়ারা শেখ হাসিনা শাহবাগের সোনার ছেলেদের কোলে তুলে গালে চুমু দিয়ে নায়কের মতো বরণ করে নিতে প্রস্তুত ছিলেন। যখন আবার আরেক ভোট ব্যাংক হেফাজত সিনে আসলো আবার চুমা দিতে গিয়া ফিরা আসলো। কিন্তু ঐযে চুমা দিতে গিয়ে হেগোর উত্তেজনা যে বাড়াইয়া দিয়া আসলো সেই ধাক্কা কে সামলাইবো? এখন ঐ আওয়ামীলীগারগোই হেফাজতি ভাইগো ব্লো জব দিতে হইতাছে!!!! আসতে আসতে সেটা গ্যাং ফাকের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে!!! নেত্রী আমার ভোটের চিন্তায় অস্থির। ভাবছেন তার দলের লোক মরছে আর ভোট বাক্সে ভোট ঢুকছে আর ঢুকছে, স্রোতের মতো সচেতন মানুষেরা নৌকায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে ফেলছেন। ভোটের রাজনীতিতে অনেক কিছুই সম্ভব, এতে আশ্চর্য হবারও হয়তো কিছু নেই!!! কিন্তু আমি এই হত্যাকে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিনা। কয়েকদিন আগে বখতিয়ার আহমেদ(শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) একটা লেখা পড়েছিলাম সেখান থেকে কিছু অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি-
"আমি পক্ষ নিয়ে ফেলেছি। আমি এই রাজনৈতিক খুনাখুনির নির্মম বলি এই পরিবারগুলোর পক্ষে। এই খুন হওয়া মানুষগুলোর রাজনৈতিক বিশ্বাস কি ছিল তাতে আমি বিন্দুমাত্র আর আগ্রহী নই। মরে যাওয়া মানুষ আর আওয়ামী-বিএনপি-জামাত থাকে না। এই খুন বা খুন হওয়াদের প্রিয়জনের কান্না মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গেল না বিপক্ষে গেল, ইসলামের পক্ষে গেল না বিপক্ষে গেল, এই নিয়ে আমি বিচলিত নই। আমার কাছে এই কান্না আমি খুন হলে আমার মা-স্ত্রী-পুত্র-বন্ধুর কান্নাই। আমার কাছে খুন হচ্ছে খুন, এর বাইরে আর কিছু না। আমার কাছে খুন ইতিহাসের আদি অপরাধ।
আমি বিপক্ষও নিয়ে ফেলেছি। যারা মনে করছেন কিছু খুন অন্যগুলির তুলনায় একটু হলেও গ্রহণযোগ্য আমি তাদের বিপক্ষে আছি। যারা মনে করছেন কারো কারো খুন হয়ে যাওয়া গৌরবের আর কারো কারো খুন হওয়া ‘উচিত শিক্ষা’ বা কারো কারো খুন হওয়া ‘কোলেটারাল ড্যামেজ’/‘অ্যাক্সিডেন্ট’, আমি তাদের বিপক্ষে আছি। যারা ত্বকির খুন আর তোফায়েলের খুন ভিন্ন ভিন্ন নৈতিকতায় মাপছেন আমি তাদের বিপক্ষে আছি। কারণ আমি খুনাখুনির বিপক্ষে আছি। খুনাখুনির রাজনৈতিক বীজগণিতের বিপক্ষে আছি। এই বীজগণিতকে ‘সংবাদ বিনোদন’ বানিয়ে যারা বা যা কিছু খুনকে আমাদের আটপৌরে স্বাভাবিকতা বানিয়ে ফেলে, আমি তার বিপক্ষে আছি।"
আপনাদের কথা জানিনা। তবে বর্তমান সময়ের প্রত্যেকটি ঘটনা, আমার শরীর ও মনে দগদগে আচড় কেটে যাচ্ছে, গত দুই আড়াই মাসে ঘটে যাওয়া ঘটনাপ্রবাহ আমার সকল অলস ঘুমের পথ রোধ করে আমাকে দাড় করিয়ে দিয়েছে কিছু চিরন্তন সত্যের সামনে। আসলে আমাদের দিয়ে হবেনা!!! আমি টের পেয়েছি আমরা বড় বেশী পরগাছা। আমাদের নিজস্ব কোন স্বত্তা নেই! আমরা তর্কের খাতিরে তর্ক করি। আমি বাপ-দাদার কাছ থেকে পাওয়া ধর্ম পালন করি!!! আমাদের দেশপ্রেম ফেইসবুক পেজে জ্বালাময়ী স্ট্যাটাস আর মানবিকতা জরুরী রক্তের দরকার, এই নিউজ ফিড শেয়ার এর মধ্যে বিদ্যমান।