মৃত্যু সর্ম্পকে আমার নিজস্ব একটা ধারণার কথা বলি:
BLACK HOLE বোঝ? যার বাংলা হলো কৃষ্ণ বিবর। Black hole সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হয় একটি star এর জ্বলার মধ্যেদিয়ে। আর জ্বলনের সময় ঐ star এ থাকা হাইড্রোজেন হিলিয়ামে convert হতে থাকে, star টি যতবেশী জ্বলে ততবেশী হাইড্রোজেন consume করে। এই হাইড্রোজেন যখন শেষ হয়ে যায় তখন star টি সংকোচিত হতে থাকে। এবং এই সংকোচনের ফলে এর ভর বাড়তে থাকে। আর আমরা জানি বস্তুর ভর যতবেশী এর মধ্যাকর্ষণ শক্তি তত বেশি। বিজ্ঞানীরা বলছেন এই Black Hole এর মধ্যাকর্ষণ শক্তি প্রায় infinite. এই প্রচন্ড মধ্যাকর্ষণ শক্তি এর নাগালের মধ্যের সবকিছুকে তার দিকে টেনে নেয় এবং এর ভিতরের কোন কিছুকে বের হতে দেয় না, এমনকি আলোও নয়। প্রকৃতপক্ষে এই স্থানে সাধারণ মধ্যাকর্ষণ শক্তি এতো বেশী হয়ে যায় যে এটি মহাবিশ্বের অন্য সকল বলকে অতিক্রম করে। ফলে এ থেকে কোন কিছুই escape করতে পারে না। আমরা একটা জিনিশ তখনই দেখতে পাই যখন ঐ জিনিশের উপর light reflect হয়ে আবার আমাদের কাছে ফিরে আসে। কিন্তু একটি black whole এর চারপাশে নির্দিষ্ট একটা সীমার মধ্যে যাই যাক না কেন তা আর ফিরে আসতে পারেনা। এমনকি light particle ও না। তাইতো আমরা black hole দেখতে পাইনা। তবে এর অস্তিত্ত্ব বোঝা যায়। একটি Black hole- এর চারপাশে যে সীমা পর্যন্ত এর মধ্যাকর্ষণ শক্তি কাজ করে তাকে বিজ্ঞানীরা বলেন Event Horizon. একটি black whole সৃষ্টির ফলে এর চারপাশে event horizon পর্যন্ত একধরনের radiation এর অস্তিত্ত্ব বিজ্ঞিনীরা পেয়েছেন যা black hole এর অস্তিত্ত্ব প্রমাণ করে।
Stephen Hawking, Black hole এ সময়ের ব্যাখ্যার জন্যে একটি উদাহরণ দিয়েছিলেন। ধর Black whole এ গমনরত একটি Spaceship প্রতি সেকেন্ডে আমাদের কাছে সিগনাল পাঠাচ্ছে। যার ফলে আমরা বুঝতে পারব যে আমরা সময় অতিক্রম করে চলেছি। কিন্তু যখন ঐ Spaceship টি Event horizon অতিক্রম করবে তখন সেখান থেকে যে সিগনালই পাঠানো হোক না কেন তা আমাদের কাছে পৌঁছেবেনা। তখন আমাদের কাছে মনে হবে ঐখানে সময় স্থির। ঠিক তেমনি আপাত দৃষ্টিতে আমাদের কাছে মনে হয় মৃত মানুষের কাছে সময় স্থির।
জীবন ও মৃত্যুর মাঝে কোন event horizon নাই। পুরো জীবনটাই আমার মনে হয় A Journey towards Black whole. যেখানে একবার প্রবেশ করার পর মানুষ তার সকল প্রশ্নের জবাব পেয়ে যায়। কিন্তু তা transmit করার ক্ষমতা মানুষের থাকেনা।
প্রত্যেকটা মানুষের জন্ম নিয়ে একটু চিন্তা কর।মায়ের পেটে প্রতিটি মানুষের যে জীবনের সূত্রপাত সেখানে বসে আমরা আমাদের পৃথিবীর জীবন সম্পর্কে কতটুকুই জানতাম কিংবা আদৌ জানতাম কিনা। কোথায় যাচ্ছি? কেন যাচ্ছি? জেনে থাকলে তবে এখনও কেন
মানুষের মধ্যে সেই একই প্রশ্ন? কোথায় এসেছি? কেন এসেছি? যাচ্ছিই বা কোথায়? কেনই বা এই যাত্রা? মায়ের পেটের যে জীবন সেটাকে যদি ধর তবে পৃথিবীর এই জীবনকে কি event horizon বলা যেতে পারে? মনে হয় বলা যায়। জীবনের সীমানায় একবার যে পা দিয়েছে তাকে সারাজীবন black hole এর আওতায় থাকতে হবে। You have nothing to do with that my son. শুধু দেখে যাও।
আজ থেকে পাঁচ বছর আগে নিজের শুরু করা একটা উপন্যাসের এক জায়গায় মৃত্যু সম্পর্কে লিখতে গিয়ে উপরের অংশটুকু লিখেছিলাম। কিন্তু স্টিফেন হকিং সাব পাঁচ বছর পরে ব্লাক হোলের উপস্থিতি নাই এরকম থিওরী দিবেন সেইটা কে জানতো? নো ব্ল্যাক হোলস