সবকিছু পাল্টে গেছে। এক মুহূর্তের কার্নিশে ঢুকে গেলে মহাকাল, ভুলে যাই পরিচিত সমষ্টি। মনে থাকে কেবল পুরনো নির্ণয়, ”সব কথা বলে দিতে নেই”। না বলে দিতে নেই, প্রতিটি শাদা ভোরের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে নীলের ঘ্রাণ। গায়ের তীব্র গন্ধে পরশের ঘুম লীন হয় মহুয়ার বনে। চিত্রায়ণ থামে না, ভুলের বাহানায় হারিয়ে গেলে বিরাম চিহ্ন; ভাঙ্গনের কথা আমার খুব বেশি মনে পড়ে। অশ্রুবাহী দুটো শালিক তখন মাথার উপর বারবার ঘোরে। সব কথা বলে দিতে নেই, কিছু না’হয় গোপনই থাক, মরুময় উঠোনে জমে উঠুক তাপের কোরাস।
আক্ষেপগুলো হোক প্রতিটি প্রহরের অনুপ্রাস। ঘুমঘোরে চোখ মেলে তাকালে, দুদোল পুকুরে দেখি প্রভাতের ঝাপ, জলবুকে ভাসা ভাঙাচুড়ির ওপর বিভ্রাটের বুনন। জলের নিচে চাপা পড়া বাতাসের মতো স্থির থাকি, তবুও জল ফুঁড়ে এসে তলানিতে পড়ে পুরনো কণা সমগ্র। তবুও বলি না, কিছু না হয় গোপনই থাক; কুয়াশার মাঝে লেগে থাক ধোঁয়ার বিষাদ। আমি না হয় এখন থেকে, প্রতিটি ভোরে নিয়ম করে বসে থাকবো জোড়া কাপের শিয়রে, একাকী। উড়ে এসে পড়ুক পতঙ্গ কতক, তাতেও ক্ষতি নেই কোনো; দেখা হবে জলের গরমে অবাধ্য আঙ্গুলের সন্তরণ, ক্ষতের মাঝে উড়ন্ত বালির উচ্ছ্বাস। বুকের সমুদ্রে কেউ যদি হয় একমাত্র পর্যটক, প্রতিটি নিঃশ্বাসের ঢেউ হবে তার মৌনতার পাঠক। তবুও কিছু গোপন থাক; সব কথা বলে দিতে নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩৭