অনেক ইচ্ছা ছিল, একদিন হারিয়ে যাবো। তা আর হলো না। জীবনের বেড়াজাল সেলাই করতে করতেই অর্ধেকটা পার হয়ে গেলো। বাকিটা পথও নিশ্চয়ই দাঙ্গা-হাঙ্গামা করেই যাবে। তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ, শ্রীমঙ্গল থেকে মোড়লগঞ্জ; ইচ্ছে ছিল অন্তত এটুকু পথ ঘুরে দেখাই যায়। তাও আর হয়ে উঠছে না। সময় আর সামর্থ্যের যোগসাজস মেলাতে মেলাতেই বেলা গড়িয়ে যা্চ্ছে।
দূরের এক বন্ধু অনেক দূরে চলে গেছে। সুন্দরবনের ধারে কাছেও নেই। কথা ছিল, একদিন চাঁদনী রাতে বনের শুরুটা কেমন দেখায় তা দেখার। টোয়ালাইট ছবিটা দেখতে গিয়ে বনের সৌন্দর্য্য চোখে লেগেছে। বাসনা করা খুব সহজ। ঠিক যেমনটি ইচ্ছা হলো তেমনটি করতে পারলেই বাসনারা নাচে। কিছুদিন আগে অচেনা জায়গা ঘুরে এলাম, শত শত হাজার হাজার মানুষের ভীড়ে সেখানে হারিয়ে গেলাম। গন্তব্য না জেনেই অনেকটা পথ পেড়িয়ে গেছি। আবার হঠাৎ করে মুহুর্তের মধ্যে সেখান থেকে ফিরেও এলাম। ইচ্ছে ছিল, নতুন জায়গা, নতুন মানুষ, নতুন কিছুর দেখা মিলবে। মিলেছে বটে, নতুনও। কিন্তু, তা গ্রহণ করতে গেলে আপনাদের মতামত বাদ দিয়ে অন্য কিছু নিয়ে থাকতে হবে। তাও আর হলো না। শেষমেষ প্রাণের টানে, দু মুঠো অন্নের সন্ধান করতে আবার ফিরে এলাম।
সেখানে টাকা ছিল, অনেক। কিন্তু, তাতে শারীরিক ক্ষুধা মিটলো, মানসিক শান্তি পেলাম না। আর যাই হোক, টাকায় বাঘের দুধ মিললেও শান্তি মেলে না। আর যাকে আমরা শান্তি বলে জানি, সেও ধরার বাইরে। অর্থাৎ, শান্তি খুঁজতে গেলেই বিপাক। সম্মান আর সম্মানীর হিসাব করতে গিয়ে গোলমাল টার শুরু। সম্মান বাদ দিয়ে সম্মানী বেছে নিলে সম্মান ছোবল দেয়। আর সম্মান ছোবল দিলে, মানুষ থাকা কিংবা হওয়ার যোগ্যতায় টান পরে।
শত কোটি টাকা দিয়ে অনেক বাসনা পূর্ণ হয় বটে, তাতে সম্মান বলে থাকে না কিছু। আর, অনেক সম্মানে মাথা উচু হয় বটে কিন্তু তাতে জানমালের ঘাটতি থেকেই যায়। বাসনা কোনটা করবেন তা আগে থেকেই ভেবে নেবেন। কারণ, সম্মান (শ্রদ্ধা-ভালোবাসা) পেলে সম্মানী (অর্থ-সম্পদ) পাবেন না। আর যদি সম্মানীর চিন্তা করেন, তাহলে দশজনের কথা না ভেবে আজই নেমে পড়ুন। অন্তুত, শারীরিক বাসনা পূর্ণ করুন। আর নিশ্চিতে ঘুমাতে চাইলে, দুইয়েরই সন্ধান করুন। আমার কথা জানতে চাইলে বলবো, সম্মানী দিন আর না দিন, সম্মানটুকু আমার জন্য রাখবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৫