
রিজার্ভ থেকে ৫৮ হাজার কোটি টাকা ( ৬২০ কোটি ডলার) ঋণ নিয়ে উন্নয়নে যে ব্যায় করছে সরকার তাতে মনে হয় - ""এত রিজার্ভ মানে অতিরিক্ত টাকা ,যা যেকোনো সময় ছাপা খানা থেকেই জোগাড় করা সম্ভব "" আসলে - রিজার্ভ যে বাড়ছে, তা পুরোপুরি শক্তিশালী অর্থনীতির কারণে নয় রিজার্ভ যে বাড়ছে, তা রেমিটেন্সের কারণে। কারণ আমরা জানি আমাদের আমদানি ব্যায় মসবসময়েই রপ্তানি বায়ের চেয়ে বেশি (পোশাক খাতের আয় সহ )
যে তিন খাতে গেছে এই অর্থ। খাত তিনটি হলো -
তিন খাতে গেছে এই অর্থ। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে ৫১৬০০ কোটি টাকা, পায়রা বন্দরকে ৫১৬৮ কোটি টাকা, শ্রীলংকাকে ১৭২০ কোটি টাকা (একজন ঋণ খেলাপির কাছে তুচ্ছ পরিমান ) . বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আমরা জানি, বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎস - রপ্তানি ও প্রবাসী আয়, বৈদেশিক বিনিয়োগ, বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান ইত্যাদি। আর ব্যয়ের বড় জায়গা হচ্ছে আমদানি ব্যয়, নানা ধরনের ঋণ ও দায় পরিশোধ। এর বাইরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে চাঁদা দেয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বায়ের খাত - বেশির ভাগ বে ভোগ্য পণ্য ক্রয়।
এখন বলি -
এ অবস্থায় অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, রিজার্ভ থেকে অর্থ বিনিয়োগের চিন্তা খুবই বাজে ও বিপজ্জনক। সামনে কী ধরনের সংকট আসবে, তা যেমন জানা নেই, করোনার টিকা কিনতে কী পরিমাণ অর্থ লাগবে, তা–ও নিশ্চিত না। সুতরাং রিজার্ভ ধরে রাখাই হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
রিজার্ভ যে বাড়ছে, তা পুরোপুরি শক্তিশালী অর্থনীতির কারণে, না দুর্বলতার জন্য, সে প্রশ্ন তো আছেই। তবে রিজার্ভের অর্থ অন্য খাতে বিনিয়োগ করা যে উচিত নয়, তা নিয়ে কিন্তু বিশ্বের কোথাও প্রশ্ন নেই।
কেন দুর্ভাবনার বিষয় ,রিজার্ভ থেকে ঋণ নেয়া ?
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



