
এই নাহলে মন্ত্রী ? সকল তথ্য সঠিক। এখন আসি গুজামিলটা কোথায় ?
মন্ত্রী মিয়ার দুটি তথ্য র গোড়ায় গিয়ে দেখি
অর্থনীতিবিদ ও রাম /রহিমের অর্থনিতি
প্রথমটি -মানুষের আয় বেড়েছে
বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ধরি ৩০০০ ডলার। অর্থাৎ মধ্য আয়ের দেশ।
আসলেই কি তাই ? তা নয়
কারণ - ১৬ কোটি জনসংখ্যার দেশে ধরে নেই ৬ কোটি লোক কর্মজীবী।
এই কর্মজীবীরদের মধ্যে ১ কোটি লোক প্রবাসী।
এখানে ফাঁকিটা হচ্ছে -
৬ -১ =৫ কোটি কর্মজীবীদের মধ্যে
২০ -৩০ লক্ষ জনের আয় গড়ে ১৫ -২০ হাজার ডলার(২০ লক্ষ সরকারি কর্মচারী )
২ -১০ লক্ষ জনের আয় গড়ে ৫০ হাজার ডলার (সরকারের কর্মকর্তা ও জেলা পর্যায়ের নেতারা )
প্রায় ১ লক্ষ জনের আয় গড়ে লক্ষ ডলার এর বেশি (সড়ক ও সরকার )
অর্থাৎ ৬ কোটি কর্মজীবীদের গড় আয় ২ হাজার ডলারের আশেপাশে।
অর্থাৎ ৫০ লক্ষ লোকের আয় গড়ে ২০ হাজার ডলার। ১০ লক্ষ লোকের আয় গড়ে ৫০ হাজার দলের ও ১-২ লক্ষ লোকের আয় লক্ষ ডলারের উপরে। অথচ ২০ লক্ষ লোকের গড় হিসাবে দরখা যায় ,গড় আয় ৩হাজার ডলার। অর্থাৎ আমরা নিম্ন আয়ের দেশ।
দ্বিতীয়টি -রিজার্ভ বেড়েছে
ঋণ নিয়ে উন্নয়নে যে ব্যায় করছে সরকার তাতে মনে হয় - ""এত রিজার্ভ মানে অতিরিক্ত টাকা ,যা যেকোনো সময় ছাপা খানা থেকেই জোগাড় করা সম্ভব "" আসলে - রিজার্ভ যে বাড়ছে, তা পুরোপুরি শক্তিশালী অর্থনীতির কারণে নয় রিজার্ভ যে বাড়ছে, তা রেমিটেন্সের কারণে। কারণ আমরা জানি আমাদের আমদানি ব্যায় মসবসময়েই রপ্তানি বায়ের চেয়ে বেশি,পোশাক খাতের আয় সহ
বর্তমান বাজারের কিছু তথ্য (না পড়লেও চলবে কারো সবাই জানি )
করোনার মধ্যেও দেশের মানুষের আয় ৩ হাজার ডলার অতিক্রম করেছে। কিন্তু এটা কতভাগ মানুষের? বেশির ভাগ মানুষেরও তো আয় কমেছে।
ডিমের ডজন বহু আগেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে, যা এখন ১২০ টাকা। বছরখানেক আগেও দুই কেজি আটার প্যাকেজের দাম ছিল ৬৫ টাকা, এখন সেটা ৯০ টাকা। এক কেজি লাল চিনির দাম ছিল ৭৫ টাকা, মাস তিনেক আগে সংকট দেখা দিলে সরকার চিনির মূল্য ৮৫ টাকা বেঁধে দেয়। কিন্তু কোথাও এ দামে চিনি পাওয়া যায় না। লাল চিনির কেজি এখন ৯৫ টাকা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেটা ১০০ টাকা। আর সাদা চিনির কেজি ৮৫-৯০ টাকা। অথচ সরকারের গুদামে লাল চিনি অবিক্রীত রয়ে গেছে, যা বিক্রি হচ্ছে না। অন্যদিকে ভোজ্য তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে। বিভিন্ন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা বলছে, বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের ৪ কোটি পরিবার আছে। এর মধ্যে নিম্নবিত্ত ২০ ভাগ আর উচ্চবিত্ত ২০ ভাগ। মাঝের যে ৬০ ভাগ এরা নিম্ন মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত। এই সংখ্যা আড়াই কোটি পরিবার হবে। এর মধ্যে সরকারি চাকরিজীবী, মাল্টিন্যাশনাল ও বড় কোম্পানিতে কাজ করা কিছু মানুষ বাদে অন্যরা সবাই এখন চরম সংকটে আছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



