
এখন কথা হলো -ওয়াসা যাকে ওয়াসা`র পানি বলছে,সেই পানি বুড়িগঙ্গার চেয়ে খারাপ সেই কথা গ্রাহক সমাজ বলে উদাহরণ সহ।তাই যদি হয় তবে বুড়িগঙ্গার পানি ওয়াসা তাদের নিজের পাইপের মাদ্ধমে গ্রাহকদের সরাসরি সরবরাহ করছে। তাই প্রশ্ন জাগে ,কোন আইনে ওয়াসা বুড়িগঙ্গার পানির দাম বাড়াবে !? পানি হলে দাম বাড়ানো যেতে পারে কিছুটা (তাতে পানির অপচয় কমবে )
ওয়াসা`র পানি বিষয়ে ম্যাথ পর্যায়ে গ্রাহকের মতামত
একজন গ্রাহক দেখান যে -
খাবার ঘরটির দেয়াল ঘেঁষে ১৫-২০টি পানির জার। ব্যাংক কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ চৌধুরীর পরিবার ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বাইরে থেকে পানি সংগ্রহ করে রান্না-খাওয়ার কাজ চালাচ্ছে। কারণ জানতে চাইলে মামুন বেসিনের কল খুলে দেখালেন। বেরিয়ে আসা পানির ধারা ঘোলা-দুর্গন্ধযুক্ত। তাঁর স্ত্রী বললেন, কখনো কখনো পানির সঙ্গে কীটও আসে।
আরো একজন গ্রাহক দেখান যে -
পশ্চিম কাজীপাড়ার বসুন্ধরা লেন ও এর আশপাশের কিছু বাড়িতে ওয়াসার লাইনে ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি আসছে। এলাকাবাসী বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তাঁরা। পানি খেয়ে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন অনেকে।
আরো একজন গ্রাহক দেখান যে -
ট্যাপের পানির সঙ্গে আসা ময়লা চোখে গিয়ে একই এলাকার সাইফুল ইসলাম চোখের সংক্রমণে ভুগেছেন। পানির সমস্যার কারণে তাঁর স্ত্রী-সন্তান এখন তাঁর শ্বশুরবাড়িতে আছেন।
সরোজমিনে দেখা গেছে -
ওই এলাকার বসুন্ধরা লেন এবং লাল চান মসজিদের গলির বেশ কয়েকটি বাসায় গিয়ে পানিতে দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। পানির রংও কালচে। বসুন্ধরা লেনের বাসিন্দা স্কুলশিক্ষিকা মুনীরা আক্তার তাঁর মায়ের বাড়ি থেকে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ লিটার পানি নিয়ে আসেন। এই পানি ফুটিয়ে খান ও রান্নার কাজে ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, ‘পানির কষ্টের মতো কষ্ট আর হয় না। প্রায় আট মাস ধরে কষ্ট করছি।’ মুনিরা বলেন, এই পানি খেয়ে তাঁর স্বামী বেশ কিছুদিন পেটের অসুখে ভুগেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



