কয়দিন আগে এই পোষ্টখান আমি দিছিলাম যখন আমারে ওয়াচে রাখছিল সামহোয়ারইন তহন। কিছুক্ষণ আগে হঠাৎ লগ-ইন করনের পর দেহি আমি নিরাপদ ব্লগার হয়া গেছি। মন ভাল হয়া যাওনের কথা। কিন্তু আরজুর পোষ্ট পইড়া মন আরো বিষায়া গেল। কী হইতাছে এইসব? আমার আগের পোষ্টখান রিপোষ্ট করলাম রিফাত হাসানরে ব্যান করনের প্রতিবাদে। আমার নিরাপদ হওনের কেতারে পুরি। সামইন কর্তৃপক্ষ ভাল থাইকেন।
মনটা বেশ খারাপ হয়ে গেল। আমার খুব রোমান্টিক গোছের মন দিয়ে চলে না, বন্ধুদের সাথেও কর্কশ ভাষাই ব্যবহার করি। গাঁও গেরামের পোলা, কোথাও ফাইজলামি দেখলে মারপিট করার স্বভাব আছে। তারপরও মন খারাপ হয়ে গেল। এই লেখাটি ব্লগে প্রকাশিত হবার আগে, সামইন কর্তৃপক্ষ একবার পড়বেন আমার এই লেখা, আমার বর্তমান স্ট্যাটাস অনুযায়ী। তারপর সেন্সর যদি কয় সমস্যা নাই, তাইলে ব্লগারগণ আমার লেখাটি পড়তে পারপেন। কারণ, আমার বর্তমান স্ট্যাটাস কইতেছে, আপনার উপর নজর রাখা হচ্ছে। উপর্যুপরি নিয়ম ভঙ্গ করায় আপনার উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং এর ফলশ্রুতিতে আপনার লেখা সরাসরি প্রথম পাতায় প্রকাশ হবে না। আপনার লেখা কেবল মাত্র আপনার নিজস্ব পাতায় প্রকাশিত হবে। তবে মডারেটর উপস্থিত থাকলে তার বিবেচনা সাপেক্ষে আপনার লেখা প্রথম পাতায় প্রকাশ করা হতে পারে। দয়া করে ব্লগ সাইটের নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলুন।..
প্রতিদিন একটি রুমাল বাংলা ব্লগে খুব বেশীদিন আগের নয়। বুদ্ধিজীবী গোছের লেখালেখি করা তার স্বভাবে যায় না। তীক্ষ্ণ ঠাট্টা বড়জোড় করতে পারে, বড়জোড় একখান লাইন। ব্লগে অস্থিরতা সৃষ্টি, গালাগালি এইসব প্রতিদিনের অপছন্দ। বহুদিন কয়া আসতেছি এইসব। ব্লগাব্লগি একটা কাজ হইতে পারে, কিন্তু এইটারে প্রফেশন মনে করি না। মুভমেন্ট মনে করি, সব কাজরেই। স্রেফ ফাইজলামি কইরা গেলাম, এরকম কিছু নয়।
তাই মন খারাপ। ব্লগ কর্তৃপক্ষ আমার লেখালেখিগুলারে ফাইজলামি মনে করেছে। আর অমি র হমান পিয়ালের এডাল্ট সাইটের প্রচারণাটিরে মনে করেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবী। হায় গোলাম হুসেন, আমি অহন কোথায় যাই?
গতকালকেই লক্ষ করলাম, যৌবনজ্বালা নামে একটি সাইটের স্বঘোষিত মডারেটর মি. অমি রহমান পিয়াল সামহোয়ার এর পেইজ ব্যবহার কইরা তার ব্যবসার বিজ্ঞাপন চালাইতেছে। আর এইটাতে সে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবহার কইরাই আগাইতে খায়েশ প্রকাশ করছে। আজব আবদার তার, এইবার পর্নো সাইট থেকেই সে যুদ্ধাপরাধীগো বিচার সাধন করপে। হাচানি!। এইসব ফাইজলামির লক্ষ্য, আমি বিশ্বস্থ সূত্রে খবর পেয়েছি, এই পপুলার প্রচারমাধ্যম ব্যবহার কইরা যৌবনজ্বালার সদস্য সংগ্রহ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেয়া জন্যই এবং তার আড়ালে গোপন ক্যামেরার কারসাজি বৈধভাবেই চালানোর চিন্তায় ঐ বেটা এইসব ধুন ফুন চালাচ্ছে।
বঙ্গদেশের রাজনীতিতেই শুধু নয়, বিশ্বরাজনীতিতেও বহুত অন্যায়ের বৈধতা দিতে ধর্মের ব্যবহার লক্ষনীয়। তয় বঙ্গদেশে, এইক্ষেত্রে ধর্মের সহিত মুক্তিযুদ্ধের ব্যবহারও আতঙ্কজনকভাবে বাড়তেছে।
প্রিয় সামহোয়ার ইন কর্তৃপক্ষ এবং ব্লগারগণ, আপনেরা কি একবার ভেবে দেখেছেন ব্লগে এই প্রচারণার ফলাফল কী হইতে পারে? সামহোয়ারের বেশীর্ভাগ ব্লগার এখন থেইকা অমি পিয়ালের যৈবনযাত্রায় যোগ দিয়ে যৌবন ক্ষয় করপে, নাম দিবে মুক্তিযুদ্ধ, হালায় তার বাপে নিশ্চয় এইরম ফাজলামির মুক্তিযুদ্ধ করে নাই, যেটি সে আমাগো দিয়ে করাইবার লাগছে।
বহুত ব্লগার দেখলাম অমি পিয়ালরে সাধুবাদ এবং স্যালুট জানাইছে এডাল্ট ওয়েবসাইটরে স্বাভাবিক বইলা ঘোষণা কইরা। বলে, আপনি হলফ কইরা কনতো, কখনো এডাল্ট ওয়েবসাইটে ঢুকেন নাই? বড়ই আজিব প্রশ্ন, আমি বা আপনি ঢুকসি বলেই এইটারে সামহোয়ারে বি্জ্ঞপনের একসেস দিতে হইব? বা একটা বিকৃতি বা অপরাধ সেটা আমি করসি বা মডারেটর অমি পিয়াল বলেই বৈধতা পাইবো?
আমি সামহোয়ারইনে এই যৌবনজ্বালার বিজ্ঞাপন এবং সদস্য সংগ্রহের বিপক্ষে অবস্থান নিলাম। এবং তাদেরকে সামইন থেকে ব্যানের দাবিও তুলছি। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের মত ঐতিহাসিক অর্জনকে ব্যবহার করার প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারির দাবী জানাই। বাংলাদেশ কোন হটকারী গোষ্ঠির হাতের পুতুল নয়, বাঙ্গালীর বহু জনমের সাধনার ফল। এই দেশকে আমি ভালবাসি।
আমি জানি না সামইন এই পোষ্টটি ফ্রন্ট পেইজে দেবে কিনা, যদি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তা্হলে, বিদায় সামইন। এইভাবে ব্লগিং করার কোন মানে হয় না। কোন অভিমান নয়, এটিও আমার যৌক্তিক অবস্থান।
ভাল থাকুন সবাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০৩