লক্ষণ ও উপসর্গ
১. বার বার পস্রাব হওয়া - মাঝে মধ্যে প্রায় প্রতি ঘন্টায় হওয়া।
২. হঠাৎ করে অজ্ঞাত কারণে দৈহিক ওজন কমে যাওয়া।
৩. পানির তৃষ্ণা বৃদ্ধি পাওয়া কিংবা অতিরিক্ত তৃষ্ণা পাওয়া।
৪. অসপষ্ট দৃষ্টি শক্তি।
৫. ক্রমাগত অবসাদ।
৬. নারীদের ক্ষেত্রে বার বার ইস্ট বা ছত্রাকঘটিত এবং মূত্রনালী বা ব্ল্যাডারের ইনফেকশন বা সংক্রামক রোগ হওয়া। কখনও কখনও মাসিক না হওয়া।
কী করা উচিত
১. আপনার যদি মনে হয় যে আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন সেক্ষেত্রে ডায়াবেটিস-এর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
২. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার খাদ্য তালিকা মেনে চলুন, নিয়মিত শরীর চর্চা করুন এবং দেহের রক্তে সুগার বা চিনির পরিমাণ কি সে সংক্রান্ত তথ্যগুলো পর্যবেক্ষণ করুন।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
১. যদি আপনার ক্লান্তি লাগে এবং বিতৃষ্ণাবোধে ভোগেন, কিংবা বার বার তীব্র তেষ্টা পায়, যদি বার বার পস্রাব হয়, শ্বাস প্রশ্বাস দ্রুত হয়ে যায়, কিংবা তলপেটে ব্যথা থাকে।
২. যদি আপনার বার বার তীব্র তেষ্টা পায়, আলস্যে ভোগেন, দুর্বলতা দেখা দেয়, মানসিক বিভ্রান্তির শিকার হন, সেক্ষেত্রে আপনার রক্তে হয়তো চিনির পরিমাণ মারাত্মক ভাবে বেড়ে গিয়েছে, এটা থেকে আপনি কোমা-তেও চলে যেতে পারেন। জরুরী চিকিৎসার শরণাপন্ন হোন।
৩. যদি ডায়াবেটিস-এ আক্রান্ত কোন ব্যক্তি জ্ঞাণ হারায়
৪. যদি আপনার শ্বাসে লক্ষ্যণীয় মিষ্টি গন্ধ থাকে, এবং একই সাথে উপরোক্ত লক্ষণগুলোও থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি হয়তো জীবননাশী রোগ কেটোএসিডোসিস-এ আক্রান্ত হয়েছেন।
জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন যদিঃ
১. যদি আপনার বা আপনার শিশুর মধ্যে ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ ধরা পড়ে।
২. যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে এবং আপনি ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লুতে আক্রান্ত হন; ফ্লু এবং এ জাতীয় অন্যান্য রোগ গুলো আপনার দেহের রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যেতে পারে।
কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
১. টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস রোগের কোন প্রতিকার নেই
তবে টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধের জন্যেঃ
১. আপনার বয়স, শরীর, উচ্চতা এবং স্বাসহ অনুযায়ী ওজনটাকে পরিমিত এবং সঠিক রাখার চেষ্টা করুন।
২. নিয়মিত শরীর চর্চা করুন। ডায়াবেটিস থেকে পরিত্রান পাবার জন্যে এবং ডায়াবেটিস হলে সেটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে নিয়মিত শরীর চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৩. আপনি যদি চল্লিশোর্ধ হন, এবং আপনার ওজন যদি শরীরের অনুপাতে বেশি হয় কিংবা যদি আপনার পরিবারের অন্য কারো বা বংশের কারোর ডায়াবেটিস হয়ে থেকে থাকে সেক্ষেত্রে প্রতি এক থেকে তিন বছরে একবার করে ডায়াবেটিস সংক্রান্ত পরীক্ষা করে দেখুন আপনি এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কি না।