লক্ষণ ও উপসর্গ
নার্কোলেপ্সিঃ
১. দিনের বেলায় পাঁচ মিনিট থেকে এক ঘন্টার জন্যে হঠাৎ করেই ঘুমিয়ে পড়া, এবং ঘুম কে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থতা।
২. তীব্র আবেগ কিংবা অবসাদের কারণে হঠাৎ করেই পেশির নিয়ন্ত্রণ হারানো।
৩. ঘুমাবার সময় এবং জেগে ওঠার সময় বিচিত্র সব দৃষ্টিভ্রম হওয়া।
৪. অবসাদ।
নিদ্রাহীনতাঃ
১. ঘুম না আসা।
২. অল্প সময়ের মধ্যেই ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া।
৩. দিনের বেলায় তন্দ্রালুভাব।
৪. মনোসংযোগের ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া।
অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ এপনিঃ
১. চিত হয়ে বা পিঠ নিচে দিয়ে ঘুমাবার সময় তীব্র শব্দে নাক ডাকা।
২. হালকা মাথা ব্যথা।
৩. দিনের বেলায় তন্দ্রালুভাব এবং মনোযোগ নিবেশে সমস্যা হওয়া।
৪. ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন, যেমন দিনের বেলায় অস্বাভাবিক বিরক্তিবোধ।
কী করা উচিত
নার্কোলেপ্সিঃ
১. দিনের বেলায় নিয়মিত ঘুমাবার চেষ্টা করুন।
নিদ্রাহীনতাঃ
১. আরাম ও স্বস্তিদায়ক ঘুমাবার রুটিন তৈরি করুন।
২. যেসব কাজ আপনাকে স্বস্তি দেয় প্রশান্তি দেয় যেমন গান শোনা বা গল্পের বই পড়া ইত্যাদি করুন।
৩. হালকা গরম দুধ পান করুন।
৪. বিছানাকে কেবল আপনার ঘুমাবার এবং যৌন মিলনের জন্যে ব্যবহার করুন, কিন্তু কাজ করার জন্যে বা টিভি দেখার জন্যে নয়।
অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ এপনিঃ
১. চিত হয়ে বা পিঠের উপর শোয়া থেকে বিরত থাকুন।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
১. যদি আপনার মধ্যে অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ এপনি, কিংবা নার্কোলেপ্সির লক্ষণ দেখা যায়, বিশেষত যদি আপনি সবসময় ঘুমঘোরে থাকেন।
২. যদি আপনি দুই সপ্তাহের বেশি সময় যাবৎ নিদ্রাহীনতায় ভোগেন।
কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
১. যদি আপনার ঘুম না আসে তবে বিছানা থেকে উঠে পড়ুন। এক গ্লাস হালকা গরম দুধ পান করুন। বই পত্র পড়ুন এবং আরাম করুন, যতক্ষণ না আপনার ঘুম আসে।
২. সকালে একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন, তা আপনি রাতে যখনই ঘুমিয়ে থাকেন না কেন।
৩. ঘুমোতে যাবার অন্তত পাঁচ ঘন্টা সময়ের মধ্যে কোন ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় যেমন চা, কফি ইত্যাদি পান করবেন না।
৪. ঘুমোতে যাবার অন্তত দুই ঘন্টার মধ্যে মদ পান বা ধুমপান করবেন না।
৫. শরীরের তুলনায় ওজন বেশি হলে ওজন কমাবার চেষ্টা করুন।