গত মঙ্গলবার লেখা প্রকাশের অনুমতি দেওয়ার শেষদিন পর্যন্ত তালিকাভুক্ত সব লেখকের অনুমতি পাওয়া গেছে। তালিকায় নেই, এমন আরো অনেকের লেখা অনুমতি নিয়ে ই-সংকলনের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। ই-সংকলনের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আশা করা যায়, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে। শীঘ্রই প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করা হবে।
ই-সংকলনে ইউনিকোড কেন বর্জন করা হল?
ইউনিকোড কেন বর্জন করা হল- এ প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক। বাংলা ইউনিকোড এখনো বলতে গেলে আঁতুড়ঘরে। ফলে তাতে সীমাবদ্ধতাও প্রচুর। ইউনিকোডে বর্ণবিন্যাস ভালোভাবে করা যায় না। প্রধান প্রধান ডেস্কটপ পাবলিশিং সফটওয়্যারগুলো ইউনিকোড সমর্থন করে না। এডবি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, কোয়ার্ক এক্সপ্রেসের মতো প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলোও ইউনিকোড সমর্থন করে না। এ কারণে প্রচলিত বাংলায় কাজ করা ছাড়া উপায় নেই। তাতে জায়গার সাশ্রয় হয়। কম জায়গায় অনেক টেক্সট ঢোকানো যায়।
ইউনিকোড থেকে প্রচলিত বাংলায় কনভার্টের সমস্যা
প্রচলিত বাংলাও আবার সমস্যামুক্ত নয়, বিশেষ করে পিডিএফ করার ক্ষেত্রে। বিএন ওয়েব টুলস ব্যবহার করে বেশকিছু টেক্সট প্রচলিত বাংলায় কনভার্ট করে কিছু সমস্যা দেখা গেছে।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে টেক্সটের বেশ কিছু শব্দ বদলে যায়। যেমন "ক্ষ" অক্ষর ডকুমেন্ট থেকে উধাও হয়ে যায়। 'রেফ' হয়ে যায় য'ফলা। অনেক যুক্তাক্ষরও অপাঠ্য অক্ষরে রূপ নেয়। বিশাল ডকুমেন্ট থেকে এরকম ত্রুটি খুঁজে বের করা খুবই কষ্টসাধ্য। তারপরও যতোটা সম্ভব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
ই-সংকলন : কোথায়, কিভাবে
অ্যাক্রোবেট রিডার ৬ বা তার ওপরের ভার্সনে এই ই-বুকটি ভালোভাবে দেখা যাবে। মাইক্রোসফট উইন্ডোজের ৯৮, এক্সপি, ২০০০ ও ভিস্তায় ই-বুকের কিছু নমুনা পরীক্ষা করে ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে।
পুরো ই-বুকটিতে মাত্র দুটি ফন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে- বাংলার জন্য সুতন্বী এমজে এবং ইংরেজির জন্য এরিয়াল। ফন্ট দুটি ই-বুকের সঙ্গে এমবেডেড থাকবে। তারপরও যদি দেখতে সমস্যা হয়, তাহলে ই-বুকের সঙ্গে একই প্যাকেজে দেওয়া সুতন্বী এমজে ফন্টটি ইনস্টল করে নেওয়া যাবে।
আর প্রচ্ছদে ব্যবহৃত সচলচিত্র দেখার জন্য অবশ্যই এডবি ফ্লাশ প্লেয়ার ইনস্টল করে নিতে হবে। ডাউনলোড করা যাবে এখান থেকে।
ই-সংকলনের আকার কেমন হবে?
দেশের পাঠকদের কথা ভেবে ই-সংকলনের আকার নিয়ে একটা উদ্বেগ কাজ করছে আমাদের মধ্যে। ইচ্ছে থাকলেও এ দিকটা ভেবে খুব বেশি ছবি রাখা হচ্ছে না এ সংকলনে। ফন্টের আকারও (১২ পয়েন্ট) খুব বেশি বড়ো রাখা হচ্ছে না পৃষ্ঠাসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ভয়ে। কারণ পৃষ্ঠা বাড়লে ফাইলের ওজনও বাড়বে। ফাইলের আকার সবমিলিয়ে চার মেগাবাইটের মধ্যে সীমিত রাখতে চাইছি আমরা। আর পেইজ লেআউট করা হচ্ছে ল্যান্ডস্কেইপে (পোর্ট্রেট নয়)।
কাকে উৎসর্গ করা হবে ই-সংকলন?
সামহোয়্যারইনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম এই ই-সংকলন কাকে বা কাদের উৎসর্গ করা যায়? সবার মতামত চাই এ বিষয়ে।
ওপরের সব বিষয়ে ব্লগারদের মতামত আশা করছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১১