আওয়ামী ভন্ডামি যার কোন সীমা নেই
আওয়ামী লীগের নির্যাতনের শিকার (Google)
যদি বিরোধী দলের কথা তা-ই হয়, তাহলে এই ফারাক্কা নিয়ে কেন এতকাল আওয়ামী লীগ’কে দোষারুপ করে রাজনীতি করা হলো? একটি বড় দেশ গায়ের জোরে তাদের ইচ্ছে পূরন করে যাচ্ছে, অথচ কেন বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল একত্রে এসে বিরুদ্ধচারন করলো না? এর দ্বায়িত্ব থেকে কি বিএনপি নিজেকে বাচাতে পারে? বিএনপি এ’দেশ’কে ১৯ বছর শাষন করেছে। ভারতের এই স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে বিএনপি’র ১৯ বছরের সাফল্য কি কি, তার বিস্তারিত প্রকাশ করা হউক।
বিএনপি ২০ বারের বেশী ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এসেছে। বিএনপি ভারতের এ একতরফা পানি প্রত্যাহারকে কোন ভাবে পুরষ্কৃত করেনি। যেখানে আওয়ামী জঙ্গিরা সেনাবাহীনিকে ধ্বংস, সিমানা ভারতীয়দের হাতে তুলে দেওয়া, বন্দর ব্যবহার এবং ট্রানজিট প্রদানের মাধ্যমে ভারতে পুরষ্কৃত করেছে।
কথাটা ঢাহা মিথ্যা। সত্য তথ্য হচ্ছে, ৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তিতে ছিল ৪৪ হাজার কিউসেক, ৮৪ সালে জিয়াউর রহমানের চুক্তিতে ছিল ২৮ হাজার কিউসেক, আর ৯৬ সালের হাসিনার চুক্তিতে ছিল ৩৩ হাজার কিউসেক। ভুল তথ্য দিয়ে আর কতকাল রাজনীতিবিদ’রা রাজনীতি করবেন এবং জনগনের সমর্থন চাইবেন?
আপনার এ বক্তব্যের পক্ষে কোন নথিপত্র আছে কি? থাকলে দয়া করে দেখাতে পারবেন কি?
রবিন্দ্রনাথ হিন্দু বলে কেবল তারই সব কিছু করতে হবে এমন কথা আছে। নজরুল বাংলাদেশের অন্যতম কবি। তাকে নিয়ে কিছু না করাটা অন্যায় হয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই বেগম জিয়া এ কথা বলেছেন। হিন্দু হাসিনা তো এর জন্যি রবিকে নিয়ে ফালাফালি করছে এতে কোন সন্দেহ আছে কি?
অবশেষে যে ভারত বাংলাদশের সাথে বিমাতা সুলভ ব্যবহার করছে সে ভারতের সাথে আমাদের ট্রানজিটের কোন প্রয়োজন আদৌ আছে কি? নেপাল ভুটানের সাথে ট্রানজিট দিয়ে বাংলাদেশের যে কোন লাভ হবে না তা অনেক আগে থেকেই আমরা জানি। তাই আমি মনে করি যে ভারতের সাথে কোন ট্রানজিট কিংবা অন্য কোণ সুবিধা দেওয়া উচিৎ নয়। যত দিন ভারত আমাদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরন না করবে ততদিন ভারতে কোন সুবিধা দেওয়ার দরকার আছে বলে মনে করি না।
আওয়ামী লীগ ভারতকে দেওয়া ওয়াদাই বাস্তবায়ন করছে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনের আগে ভারতকে যেসব ওয়াদা দিয়েছিল, ক্ষমতায় এসে একে একে তা-ই বাস্তবায়ন করছে। তারা এশিয়ান হাইওয়ের নামে দেশের সার্বভৌমত্ব ভারতের হাতে তুলে দিতে চায়। ভারত ও মিয়ানমার দেশের সমুদ্রসীমা দখল করছে, অথচ সরকার কিছুই বলছে না। কৌশলে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ৭২-এর সংবিধানে ফিরে গিয়ে তারা এ দেশে আবারও বাকশাল কায়েমের ষড়যন্ত্র করছে। তাদের দলের নেতা-কর্মীরা সারা দেশে টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস ও দখলের রাজত্ব কায়েম করেছে। আজ জনগণের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


