somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সরকার দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে চায়

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য পেশ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর পীর সাহেব চরমোনাই মাওলানা সৈয়দ রেজাউল করিম -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার : চরমোনাই পীর সৈয়দ রেজাউল করিম বলেছেন, '৭৪ সালের সরকারকে যারা বিপদগামী করেছিল তারা এখন হাসিনা সরকারকে বিপদগামী করতে চায়। সরকারের ভিতরে একটি অংশ ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। নামাজ-রোজার মত ইসলামী আন্দোলন করাও ফরয। তাই আইন করে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করা যাবে না। সরকার আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস সংবিধান থেকে বাদ দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মুসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, নূরুল হুদা ফয়েজী, ঢাকা মহানগরীর সভাপতি অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, মহাসচিব অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।
চরমোনাই পীর বলেন, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক উভয় কল্যাণ সমন্বয়ের মাধ্যমে মানুষের সার্বিক কল্যাণ সম্ভব। ধর্মীয় রাজনীতি ছাড়া মানব কল্যাণ সম্ভব নয়। প্রায় সকল ধর্মনিরপেক্ষ দেশে ধর্মীয় রাজনীতি রয়েছে। তিনি ভারতের বিজেপির কথা উল্লেখ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানীসহ অনেক দেশেই ধর্মীয় দল ক্ষমতায় রয়েছে। তাদের প্রভু রাষ্ট্র ভারতেও ৯টি ইসলামী দল রয়েছে। তাদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সরকারের একটি অংশ ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়। এর ফল অতীতেও ভালো হয়নি। এখনও ভালো হবে না। এ থেকে সরকারকে ফিরে আসতে হবে। সরকার পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বললেও তারা ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের পাঁয়তারা করছে। ধর্মীয় রাজনীতি ছাড়া পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকে না। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য আজ কঠিন সময় যাচ্ছে। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই পূর্ণ মুসলমান হওয়া যাবে।
তিনি আরো বলেন, কোনো জালেম সরকার জুলুম-নির্যাতন করে ক্ষমতায় বেশি দিন টিকতে পারে না। সরকার আইনের দোহাই দিয়ে ইসলামী রাজনীতি বন্ধ করলে দেশের জনগণ তা মেনে নিবে না।
মুসাদ্দেক বিল্লাহ বলেন, '৭৪ সালে সরকারকে যারা বিপদগামী করেছিল তারাই হাসিনা সরকারকে এখন বিপদগামী করতে চায়। দেশে অস্থিতিশীল করতে সরকারের ভিতরে একটি অংশ কাজ করছে। এই ষড়যন্ত্র থেকে সরকারকে বেরিয়ে আসতে হবে। নামাজ-রোজার মতই ইসলামী রাজনীতি করা ফরয। তাই আইন করে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করলে সরকার ভুল করবে। জনগণ বুঝতে পারছে না দেশ কে চালাচ্ছে। আইনমন্ত্রীদের কথা শুনলে মনে হয় দেশে কোনো মুসলমান নেই।
অধ্যাপক হেমায়েত উদ্দিন বলেন, দেশের স্বাধীনতা ধ্বংস করতে ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তি আজ চক্রান্ত চালাচ্ছে। গ্যাস, পানি ও সকল খনিজ সম্পদ লুণ্ঠনের ষড়যন্ত্র করছে। আজ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা কোথায়। যে কোনো মূল্যে দেশকে বাঁচাতে হবে। সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস উঠিয়ে দিয়ে সরকার মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। তিনি আরো বলেন, সরকার নির্বাচনী ওয়াদায় বলেছিল তারা ক্ষমতায় গেলে শরীয়াহ বিরোধী কোনো আইন করবে না। তারা তাদের সেই ওয়াদা থেকে সরে এসে ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের ষড়যন্ত্র করছে। তারা ধর্মীয় নেতাদের ওপর হামলা-মামলা করছে। আল্লাহর দোহাই দিয়ে তিনি বলেন, ধর্মের ওপর আঘাত আনবেন না। হামলা-মামলা বন্ধ করুন। এর ফল বেশি ভালো হবে না। মুরতাদ কাফেরদের কথা শুনবেন না। আপনার বাবা যে ভুল করেছিল, আপনিও সেই ভুল করবেন না। তাহলে দেশবাসী আপনাকেও ক্ষমা করবে না। সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি মুক্তাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে জিরো পয়েন্ট হয়ে প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট রোড হয়ে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়। আগামী ৬ আগস্ট শুক্রবার বাদ জুমা এক বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয়
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×