somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমেরিকা ভ্রমন ৫ । (বোষ্টনের পথে)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বোষ্টন সায়েন্স মিউজিয়ামের চত্তরে একদল শিক্ষার্থী



ম্যানঞ্চেষ্টার থেকে বোষ্টনের দুরত্ব ৬৫ মাইল/১০৪ কিলোমিটার গতিবেগে দুই ঘন্টার পথ। ওখানকার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা করা এবং প্রাচীন স্থাপনাগুলি দেখার উদ্দেশ্যেই একদিনের ভ্রমন পরিকল্পনা। দ্রুত গতিতে ধাবমান অবস্থায় ছবি তোলা খুব দুরূহ তারপরও চড়াই উৎড়াই পাহাড়ী পথ ও টানেলের কিছু ছবি উঠিয়েছি কেমন হলো জানিনা।


বোষ্টনের পথে যাত্রা শুরু।


দুপাশেই পাহাড়।


চড়াই উৎড়াই বেয়ে চলা।


সামনে দূর দিগন্তে পাহাড়ের হাতছানি।


নীল আকাশের নীচে আমরা চলেছি -------দিগন্তের ছোঁয়া পেতে। :D


আবারও চড়াই---।


ক্রসরোড। আমেরিকার সব যায়গায় হাইওয়েতে উপর নীচে অসংখ্য ওভারপাস এবং আন্ডারপাস রয়েছে তাই সিগনালের কারনে জ্যাম কমই বাধে। গতিসীমা ৬৫ মাইলের নীচে চল্লিশ পয়তাল্লিশ হলেই ওদের ভাষায় জ্যাম সবাই অস্থির হয়ে যায় সময়মত গন্তব্যে পৌছঁতে পারবে কিনা এই চিন্তায়। আমাদের ঢাকা শহরে এত ব্যয় করে লম্বা লম্বা ফ্লাইওভার না বানিয়ে ওভারপাস আন্ডারপাস করে গাড়ীগুলি পার হওয়ার ব্যবস্থা যদি করা হত এবং একই সাথে কিছু রাস্তা ওয়ান ওয়ে করে দিলে মনে হয় এয়ারপোর্ট মোড়,কাকলী,মহাখালী,
মগবাজার,ফার্মগেট,শাহবাগ,সাইন্সল্যাব, নীলক্ষেত, মানিক মিঞাঁ এভিন্যুউ এরকম অসংখ্য মোড়ে তাহলে গাড়ী দাড়াতে হতো না। সেক্ষেত্রে কি এমন জ্যাম হতো? ফ্লাইওভারগুলি এক যায়গার জ্যাম অন্য যায়গায় ট্রান্সফার করেছে মাত্র জ্যাম কমায় নি।


রাস্তার পাশে সুন্দর দেওয়াল কিন্তু গতির কারনে তেমন সুন্দরভাবে ছবিতে উঠেনি।


বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত টানেলের (গুহা) ভিতর দিয়ে চলা।


রকপোর্ট গ্রুপের জুতার কারখানা নিউটন মেসাচুসেটস্।


পাহাড়কে দুভাগ করে দিয়ে চলে গেছে সর্পিল পথ। ওয়াল দিয়ে ধ্বস ঠেকানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে পাশের ঢালে সযত্নে লালিত সবুজ ঘাস।


আবারও ক্রসরোড।


বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়।


ফ্যাকাল্টির একাংশ।


স্বাগতম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহর বোষ্টন, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় মিলে মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ৪৯ টি শিক্ষার্থী আছে প্রায় এক লক্ষ বায়ান্ন হাজার। বোষ্টন ব্যয়বহূল শহর। কিছু তথ্য গুগল থেকে নিলাম।


শহরের ভিতর রাস্তার পাশে নয়নাভিরাম ফুল।


অনেক উচু বিল্ডিং। ছবি তুলতে গিয়ে মানুষগুলি পিগমী হয়ে গেছে। :D


সুন্দর স্থাপনায় কর্মরত কিছু মানুষ।


রাস্তার পাশে কলেজটা পড়েছিলো ভাবলাম তুলে নেই। ;)


প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক বোষ্টন অর্কিটেকচারাল কলেজ স্থাপিত ১৮৮৯ সালে।


এই বিল্ডিং এর আর্কিটেকচারাল ভিউ বেশ ভাল লেগেছে। প্রতিটি পিলার উপরে উঠে গম্বুজ হয়ে গেছে।


কনভেন্ট সহ প্রাচীন গির্জা।


১৯১০ সালের তৈরী ব্রীজ ।


ইষ্টার্ন বাস কোম্পানীর বাস। আমাদের ঢাকার টাউন সার্ভিস বাসের মত সুন্দর নয় ;)
ঢাকার বাসের বডিগুলি এবষ্ট্রাক্ট আর্ট দ্বারা অলঙ্কৃত থাকে যা এগুলোতে অনুপস্থিত। =p~


সায়েন্স মিউজিয়াম।


মিঃ ব্রাড ওয়াশবার্ন এবং মিসেসঃ বারবারা ওয়াশবার্ন এর ম্যুরাল । মিঃ ব্রাড ছিলেন সায়েন্স মিউজিয়ামের প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টরদের মধ্যে অন্যতম। তিনি একাধারে অভিযাত্রী,এরিয়াল ফটোগ্রাফার,পর্বতারোহী। তিনি মাউন্ট এভারেষ্ট এবং গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের ডিটেইলড ম্যাপ তৈরী করেন।
মিসেস বারবারা ছিলেন একজন পর্বতারোহী এবং শিক্ষিকা। তিনিই প্রথম নারী যিনি আলাস্কার ডেনালীর মত দুর্গম পর্বতকে পদানত করেছিলেন।


যৌবনকালে ব্রাড দম্পতি।


বয়োবৃদ্ধ ব্রাড দম্পতি।

এই দম্পতিদের ছবিসূত্রঃ গুগল মামু।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৮
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×