somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র থেকে একনায়কতন্ত্র

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাইকোপ্যাথি লিখার পরে আমি আরো কিছু লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু ইতিহাস নিয়ে না লিখলে লিখার মর্মতা থাকবে না। অনেক ব্যাস্ততার মাঝেও আমাকে লিখতে হবে। আমার সময় কম। শরিরেরও অবস্থাও ভাল না। রাতে ঘুম আসে না। কখনও কখনও ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাই। বন্ধুবান্ধব কারো বাসায় যাই না। একা একা ঘরে মরছি। তাই লিখা লিখি সুরু করেছি। কারন জানতে চাইবেন না, সময় হলে আমি নিজেই সব বলবো। আপনাদের ধৈর্য্য ধারন করতে হবে। কাজ ও বাসা ছারা ব্লগের পাঠকেরাই আমার বন্ধু। একরকম নিস্তব্দ হয়েই জীবন কাটাচ্ছি। বাংলায় লিখার অভ্যাসটা হারিয়েই ফেলিছিলাম। ব্লগে লিখার নেশাই আমার লিখার শক্তিকে ফিরিয়ে দিয়েছে। আমি জানি আমার লিখার তেমন মানসম্মত নয়। যতটুকুই এসেছি পুরোটাই আপনাদের কাছ থেকে পাওয়া অনুপ্রেরনায়ই হয়েছে।
আমার লিখা পরে আনেকে কটাক্ষ করেছেন, অনেকে হেসেছেন আবার অনেক পাঠক একমতও প্রকাশ করেছেন। এ সবই আমার কাছে অনুপ্রেরনা।

১৯৯০ সালের সৈরাচার বিরোধি আন্দোলনে সময় বয়স কম থাকার কারনে মহাসরকে আন্দোলন করার সাহস হয় নি। তবে এটা মনে আছে এরশদ পতনের পর আমরা পারার ছেলেরা আনন্দ মিছিল করেছিলাম। মা অবশ্য কিছুই জানতো না। তখন ভেবেছিলাম দেশে এক বিরাট সুখ আসবে। আমাদের এলাকা থেকে ড: কামাল হোসেন দাড়িয়েছিলেন। ভেবেছিলাম উনিই জিতবেন। আসলে মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক। আসুন এইবার ইতিহাসের পাতা থেকে ঘুরে আসি।

জার্মানি ১৯৩২ এর পূর্ববর্তি সময়। কমিউনিস্ট পার্টির মৌলবাদিত্বে মানুষ কিছুটা আস্থির। সামাজিক ও অর্থনৈতিক মন্দা ভাবের কারনে েপ্রসিডেণ্ট পল ভন হিনডেনবার্গ ওয়েমারের (জার্মানির) রিপাবলিকের পার্লামেণ্টকে ২বার দরিভূত করেছেন। এর মধে্য হঠাৎ একদিন জার্মানের পার্লামেণ্ট ভবনে আগুন লাগানো হয় এবং কমিউনিস্ট পার্টির ভান ডের লুবকে হাতেনাতে গ্রেপ্তারও করা হয়। এই ঘটনাকেই পুজি করে ন্যাশনাল সোসালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টির (এন এস ডি এ পি) ছোট ছোট মৌলবাদি বিক্ষুব্ধ দল একত্রিত হয়। হিটলারকে আগুনের ঘটনার আগেই এন এস ডি এ পি এবং জামর্ান ন্যাশনাল পিপলস পাটর্ির (ডি এন ভি পি) কেবিনেটের নেতা হিসাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। আগুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রেইচস্ট্যাগ ফায়ার ডিকরি বাংলায় বলতে গেলে রেইচস্ট্যাগ আগুন আইন পাস করা হয়। ঘটনা সাপেক্ষে জনতাও আইনটি মেনে নিয়েছিল। হিটলার নিজেও ব্রউনশার্ট মিলিশিয়া বাহিনির প্রধান ছিলেন। ব্রউনশার্টের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯২১ সালে। আগুনের ঘটনাকেই পুজি করে ২৮৮ টি সিট নিয়ে হিটলারের দল ক্ষমতায় আসে। এবং সংবিধানিক ভাবেই ১৯৩৩ সালের ২৩শে মার্চ ৪৪৪টি ভোট নিয়ে এনেবলিং এক্ট পাস করে। এই এক্টটিতেই জার্মানির চেন্সেলর ও প্রসিডেন্টকে সর্বাধিক ক্ষমতা দেওয়া হয়। এই এনেবল এক্টের কারনেই হিটলার নিজেকে জার্মানের সমরাস্ত্র বাহিনির প্রধান করে অনেক ব্রিগেডিয়ার ও জেনারেলকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে মৃতূ্যদণ্ড দেন। এরপর হিটলার সরকারকে ঢেলে নিজের মত করে সাজিয়ে নেন এবং জার্মানির ট্রড ইউনিয়নকে বিলুপ্ত করে ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের গ্রেপ্তার ও হত্যা করেন। হিটলার তৎকালিন পোপের সাথে চুক্তি করেন। পোপও (ভেটিকানের ধর্মিয় নেতা) কমিউনিস্ট পার্টিকে বিলুপ্ত করতে রাজি থাকায় হিটলারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। পোপের সাথে চুক্তির কারনে হিটলার ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বিদের সর্বাধিক অনুমোদোন পান এবং হিটলার সমস্ত বিরোধি দলের নেতাদের নিষিদ্ধ ঘোষনা করে তাদের পার্টিকেও বাতিল ঘোষনা করেন। এনেবল এক্ট হিটলারকে সেই সাংবিধানিক ক্ষমতার অধিকার দেয় যার বদৌলতে হিটলার আদালত প্রথাকে ভেঙ্গে নাজসি মৌলবাদিত্ব আদালতি তথা মিলিটারি ও একতরফা আইন চালু করেন।
এবং একনায়ক তন্ত্রের সুচনা করেন।

সংগ্রহ:
View this link -- উইকিপিডিয়া — হিটলারের জীবনী
View this link -- এনেবল এক্ট
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৪
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×