somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সময়ের কথা

২১ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


যদিও শিরনাম দেখে মনে হতে পারে ইতিহাস নিয়ে কথা বলবো, আসলে তা কিন্তু নয়। মূলত আমি সময় নিয়ে কথা বলবো। সময় নিয়ে তেমন ভাবে বলার কিছুও নেই, আমরা সকলেই জানি সময় হচ্ছে প্রবাহিত নদীর মত, বয়ে চলে যায়। সময়কে মাপার জন্য অনেকগুলি একক আমরা তৈরি করে রেখেছি যাদের সেকেন্ড-মিনিট-ঘন্টা ইত্যাদি ইত্যাদিতে প্রকাশ করা হয়। আজকের এই ক্ষুদ্র আলোচনায় আপনাদের সামনে সেই বস একককেই তুলে ধরতে যাচ্ছি। এগুলি হয়তো অনেকেরই জান, কিন্তু গুটি কয়েক জনেরও যদি জানা না থাকে আর আমার এই লেখা থেকে তারা যদি তা জানতে পারেন তাতেই আমি খুশি। তাহলে শুরু করা যাক সময়ের এককগুলি জেনে নেয়ার এই চেষ্টা।


সিদ্ধান্তজ্যোতিষের (৩০০-১২০০খৃ:) সময়ে সময়কে অনেকগুলি বিভাগে ভাগ করা হতো। সেই বিভাগগুলি দেখার আগে আরও কিছু জিনিস আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। বাংলা চলচিত্রের একটি বিখ্যাত গান আছে -
“এক পলকে একটু দেখা
আরও একটু বেশি হলে ক্ষতি কি?”

আরও একটু বেশি হলে কোন ক্ষতি ছিল কিনা তা যারা ছবিটি দেখেছেন তারাই বলতে পারবেন, কিন্তু আমরা কজন জানি “১ পল” সমান-সমান কতটা সময়?

আমরা অহরহই বলি- “এক দণ্ড দাঁড়ানোর সময় নাই।”
এখন প্রশ্ন হচ্ছে “১ দণ্ড” বা “১ প্রহর” সমান-সমান কতটা সময়?

যারা জানেন তাদের অভিনন্দন আর যারা জানেন না তারা আজকের পর থেকে জেনে যাবেন। আমি যদি বলি “এক সূর্যোদয় থেকে আরেক সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়কে মোট ৬০টি দণ্ডে ভাগ করা হয়েছে” তাহলে দাঁড়ায়
২৪ ঘন্টা = ৬০ দণ্ড।
বা ১ ঘন্টা = (৬০÷২৪) দণ্ড বা ২.৫ দণ্ড
অতএব ২.৫ দণ্ড = ১ ঘন্টা
বা ২.৫ দণ্ড = ৬০ মিনিট
বা ১ দণ্ড = (৬০÷২.৫) মিনিট বা ২৪ মিনিট।
তাহলে দেখা যাচ্ছে ২৪ মিনিটে হয় ১ দণ্ড।

তাহলে উপরের হিসাব থেকে দেখতে পাচ্ছি যে কেউ যখন বলে “এক দণ্ড দাঁড়ানোর সময় নাই” তার অর্থ হচ্ছে উনি ২৪ মিনিট দাঁড়াতে পারবেন না।


আবার আমরা এটা বলে থাকি যে - “অষ্টপ্রহর ব্যস্ত থাকতে হয়।”
এখানে জেনে রাখুন, ৮ প্রহর = ৬০ দণ্ড।
আর আমরা আগেই জেনেছি ৬০ দণ্ড = ১ দিবারাত্রি।
অর্থাৎ
৮ প্রহর = ২৪ ঘন্টা
বা ১ প্রহর = (২৪÷৮) ঘন্টা
বা ১ প্রহর = ৩ ঘন্টা।
তাহলে দেখতে পাচ্ছি ৩ ঘন্টায় হয় ১ প্রহর।



চোখের পলক ফেলার আগেই যদি কেউ হাওয়া হয়ে যায়, তাহলে তার হাওয়া হতে কত সময় লেগেছে বলতে পারবেন? চোখের পলক ফেলতে আমাদের হয়ত সেকেন্ডেরও কম সময় লাগে, কিন্তু জেনে রেখেন ১ পল সমান-সমান কিন্তু ২৪ সেকেন্ড। ২৪ সেকেন্ডে কেউ হাওয়া হয়ে যেতে পারে কিনা তার হিসাব এবার আপনারা করেন।

যাইহোক ইউরোপিয়ান রীতিতে আমরা জানি
১০০০০০০ নেনোসেকেন্ড = ১ মিলিসেকেন্ড।
১০০০ মিলিসেকেন্ড = ১ সেকেন্ড।
৬০ সেকেন্ড = ১ মিনিট।
৬০ মিনিট = ১ ঘন্টা।
২৪ ঘন্টা = ১ দিন। (দিবারাত্রি)
৭ দিন = ১ সপ্তাহ।
৩০ দিন = ১ মাস।
১২ মাস বা ৩৬৫ দিন = ১ বছর।
১০০ বছর = ১ শতাব্দী।
কিন্তু সত্যিকারের নক্ষত্রীয় সময়ে ৬০ সেকেন্ড = ১ মিনিট নয়, বরং ৫৯.৮৩৬১৭ সেকেন্ড = ১ মিনিট হয়।

আবার যদিও বলা হচ্ছে ৩০ দিনে এক মাস, আসরে বলা উচিত-
২৮, ২৯, ৩০ বা ৩১ দিনে এক মাস।
ফেব্রুয়ারি মাস হয় ২৮ দিনে, লিপইয়ারে আবার হয় ২৯ দিনে। আবার কিছু মাস হয় ৩০ বা ৩১ দিনেও

আমরা বলি ৩৬৫ দিনে ১ বছর, আসলে-তো ৩৫৬ বা ৩৬৬(লিপ ইয়ার) দিনে এক বছর হয়।

সময়ের প্যাঁচাল আজ এই পর্যন্তই রইলো, সকলে ভালো থাকবেন।


এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের মত এই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝি পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×