কক্সবাজার ভ্রমণ ২০২০ এর যাত্রা শুরু ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২০ বাংলাদেশ বিমানের দুপুর ২টার ফ্লাইটে। ঢাকা থেকে রওনা হয়ে ৪০ মিনিটে প্লেন থেকে পাখির চোখে দেখা অপরূপ দৃশ্যের স্বাদ নিতে নিতে আমরা ৪ জন পৌছে যাই কক্সবাজার এয়ারপোর্টে। এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে একটি ইজিবাইক ভাড়া করে চলে আসি কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্টের কল্লোল হোটেলের রেস্টুরেন্ট কাশুন্দি-তে। এখানে দুপুরের খাবার খেয়ে পাশেই হোটেল অভিসারে উঠে আসি।
আগেই বলেছি হোটেলে অভিসারের পঞ্চম তালায় ৫০৮ নং যে রুমটি ভাড়া নিয়েছি সেটি বেশ বড়। উত্তর পাশে একচিলতে নামকা ওয়াস্তে ব্যালকনি, কাজের কিছু না। তবে রুমের পশ্চিম দেয়াল জুড়ে বিশাল কাঁচের জানালা। পর্দা সরালেই লাবনী পয়েন্টের মার্কেট পেরিয়ে দেখা যায় উপ-সাগরের ঢেউ।
হোটেলের পিশ্চিম অংশে আছে একটি চমৎকার কমন বারান্দা। এখানে দাঁড়ালে চোখের সামনে অনেকটুকু দিগন্ত উন্মচিত হয়। দক্ষিণ দিকে বিশাল একটি হোটেলের নির্মানাধীণ অবকাঠাম দাঁড়িয়ে আছে। সম্ভবত করনার কারণে নির্মাণ কাজ এখন বন্ধ। সামনে দিয়ে রাস্তাটি চলে গেছে সুগন্ধা পয়েন্ট পর্যন্ত। হোটেলের উলটো পাশে বনবিভাগের রেস্ট হাউস, গাছ গাছালিতে ছাওয়া। দেখলাম লাবনী পয়েন্টের পুরনো রাস্তার ঠিক ডান পাশেই টুরিস্ট পুলিশরা বিশাল দালান করেছে সৈকত ঘেষে। সৈকতের এতো কাছে আর কোনো অবকাঠামো নেই মনে হয়। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি ওখানে টুরিস্ট এ্যালাও না। তাহলে এতো বড় অবকাঠামতে কারা থাকে? কে জানে!!
যাইহোক, হোটেল রুমে ব্যাগ রেখে আমরা বেরিয়ে আসি সৈকতে যাওয়ার জন্য। হোটেল থেকে বেরিয়ে কয়েক মিনিট হেঁটেই পৌছে যাই সৈকতে। সূর্যি মামার ত্যাজ কমে এসেছে। পশ্চিমাকাশে ছাড়া ছাড়া মেঘ। বড় মেয়ে সাইয়ারা ১১ বছর বয়েসে ইতিমধ্যে দু’বার এসেছে কক্সবাজারে, এটা তৃতীয় বার। আর ছোট মেয়ে নুয়াইরার এবারই প্রথম আসলো। ভয় আর আনন্দ নিয়ে উপভোগ করছে চারপাশ। সাগরের নোনাজলে পা ভেজাবার ইচ্ছে আর ভয় ওর মনে।
সূর্য পাটে যেতে বসেছে। এরই মাঝে দেখি পূর্বাকাশে দেখা দিয়েছে রংধনূ। আর পশ্চিমাকাশের চারপাশে রক্তিম আভা ছড়াতে ছড়াতে নেমে যাচ্ছে সাগর অবগাহনে। অনেক অনেক বছর পরে এতো অপূর্ব সূর্যাস্ত দেখছি কক্সবাজারে। ক্যামেরা আর মোবাইলে টপাটপ কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম।
https://www.youtube.com/watch?v=GqFlXy2SeRI&feature=youtu.be
৩০ টাকা ঘন্টা হিসাবে একটি খাটিয়ায় আয়েশ করে বসে দেখছি রবির লালচে আলো মেঘের পরে ছড়িয়ে দেয়ার দৃশ্যাবলি। পিছনে বেশ বড় একটি চাঁদ উঠে আসছে। ঘুড়ি উড়াচ্ছে একজন। চাঁদের পটভূমিতে অতি আকর্ষণীয় সেই দৃশ্য। তেমন ভালো ভাবে ক্যামেরা বন্দি করা গেলো না।
এভাবেই শেষ হলে আমাদের প্রথম দিনের সমূদ্র দর্শন। আগামী কাল থেকে শুরু হবে ভ্রমণ কক্স-বাজারে।
চলবে.....
ভ্রমণ সংক্রান্ত আমার সকল লেখার লিংক -
মরুভূমির জলদস্যুর ভ্রমণ বিলাস