somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জনম জনম – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ)

২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বইয়ের নাম : জনম জনম
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : জনুয়ারি ১৯৯৩
প্রকাশক : কাকলী প্রকাশনী
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৯২ টি



সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট


কাহিনী সংক্ষেপ :
তিথিদের খুবই দরিদ্র সংসার। কোন রকমে দিন কাটে যায়। তার বাবা বৃদ্ধ এবং অন্ধ, মা সংসার দেখা শোনা করে। বড় বোন অরুর বিয়ে হয়ে গেছে আর ছোট ভাই টুকু সেভেনে পড়ে। তিথির এক বছরের বড় এক ভাই আছে হীরু, কিছুটা টাউট টাইপের। কোন কাজ কর্ম করে না, ঘুরে-ফিরে খায়-দায়। নানা কথা বলে নানান ভাবে টাকা জোগাড় করে সে চলে। বাজার থেকে চাল আনার জন্য টাকা দিলে সে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সংসার টানতে হয় তিথিকেই। তিথি আসলে একজন নিশিকন্যা। নাসিম ভাই নামে একজন লোক তিথিদের মত মেয়েদের জন্য গ্রাহক জোগার করে দেয়। তিথির এই কাজ না করে কোন উপায় নেই, সংসারের খরচ চালানোর জন্য বাধ্য হয়ে তাকে এই পথে নামতে হয়েছে।

একদিন তিথির পরিচয় হয় দবির সাহেবের সাথে। স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তিনি এসেছেন তিথির কাছে, কিন্তু লাজুক আর কিছুটা ভিতুটাইপের দবির সাহেব তিথির সাথে কিছুক্ষণ গল্প করেই চলে যান। বদির সাহেব তার স্ত্রীর কাছে কিছুই লুকাননা বলে তিথির কথাটাও স্ত্রীকে বলে ফেলেন।

একদিন খেয়ালের বসে তিথি বদির সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠে। বদির সাহেবের স্ত্রীও তিথির সাথে কথা বলেন। তিথি তার সাথে একটু মনখুন্ন হয়ে চলে আসে। পরে বদির সাহেবের স্ত্রী আবার বদির সাহেবকে তিথির বাড়িতে পাঠায় তিথিকে নিয়ে আসার জন্য। দবির সাহেবের স্ত্রী বুঝতে পারেন তার মৃত্যুর সময় এগিয়ে এসেছে। তিনি তার জমানো এগার হাজার টাকা তিথিকে দেয়ার জন্য দবিরকে বলেন। তাছাড়া তিথিকে বিয়ে করার জন্যও দবিরকে বলেন। বদির স্ত্রীর মৃত্যুর পরে সেই টাকা তিথিকে পৌছেদেন। তিনি তিথিকে চমৎকার একটি চিঠি লিখেন কিন্তু তিথি সেই চিঠির কোন জবাব দেয় না।

অন্যদিকে হীরু তার বড় বোনের স্বামীর কাছে বাবার চিকিৎসার কথা বলে অনেকগুলি টাকা ধার নিয়ে আসে যা বাড়ির কেউ জানে না। অনেকদিন পরে বড় বোনের স্বামী সেই টাকা ফেরত নিতে এলে হীরুর মার সাথে তার কথাকাটা কাটি হয়। সে বাড়িতে গিয়ে অরুর উপর অত্যাচার করতে শুরু করে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অরু একদিন স্বামী সন্তানকে ফেলে বাবার বাড়িতে চলে আসে। অরু চাকরি করতে চাইলে টুকু একটি এনজিওতে তার চাকরি জোগার করেদেয়। অরুর পোস্টিং হয় হালুয়াঘাট। সেখানে যাওয়ার পরেই অরুকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। শোনা যায় অরু তার বিদেশী বসের সাথে দেশের বাইরে চলে গেছে।

হীরু প্রেম করে এ্যানার সাথে। মেট্রিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় এ্যানির সাথে হীরুর পরিচয় হয় ঘটনা চক্রে। পরে কথা কথায় ধীরে ধীরে আলাপ থেকে পরিচয় হয়, পরিচয় থেকে প্রেম। কিন্তু এ্যানার বিয়ে ঠিক হয়ে যায় এক ডাক্তার ছেলের সাথে। গায়ে হলুদের দিন এ্যানা হীরুর কাছে চলে আসে। রাতেই কাজী ডাকিয়ে তাদের বিয়ে হয়ে যায়। তিথি হীরুকে কিছু টাকাদেয় ব্যাবসা করার জন্য। হিরু একটি চায়ের রেস্টুরেন্ট দেয়। দেখতে দেখতে সেই রেস্টুরেন্ট বড় হয়ে উঠে। হীরু নিজের তিন তালা বাড়ী করে, গাড়ী কেনে। তিথিকে আর আগের জীবনে ফিরে যেতে হয় না।

----- সমাপ্ত -----


=======================================================================

আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ

আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়


তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৯
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×