১।
রন্টির ভাব হয়েছে কিণ্ডারগার্ডেন স্কুলের শিক্ষিকা অনামিকা বিশ্বাসের সঙ্গে।
একদিন পটিয়ে-পাটিয়ে রন্টি অনামিকাকে নিয়ে এলো নিজের খালি বাড়িতে। সেখানে অনেক আদর-টাদর করে দু’জনের একবার প্রেমপর্ব সমাধা হয়ে গেল। খানিকবাদে রন্টি দেখল অনামিকা কেঁদছে।
রন্টি : এ কি? তুমি কাঁদছ কেন?
অনামিকা : দুই দু্ইবার এরকম পাপ করার পর কাল কি করে নিষ্পাপ সরল শিশুদের সামনে দাঁড়িয়ে আমি পড়াবাে বলতাে? ভাবতেই আমার কান্না পাচ্ছে।
রন্টি : দুই দু্ইবার মানে? একবার হলো!
অনামিকা : যাবার আগে তুমি বুঝি আমাকে ছেড়ে দেবে?
২। এই তােমার সুযােগ
মিসেস চ্যাটার্জির বাড়িতে পেইংগেস্ট থাকত রন্টি।
মিস্টার চ্যাটার্জি পেটুক প্রকৃতির লােক। খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত। সুন্দরী বৌয়ের প্রতিও তার কোন টান নেই। রীতিমতাে বৌকে সে অবহেলা করে।
একদিন রাত্তিরে খেজুর গুড়ের পায়েস হয়েছে। মিস্টার চ্যাটার্জি পুরাে বাটিটাই টেনে নিল। বৌকে না, এমন কি রন্টিকেও এক চামচ পায়েস খেতে দিলে না। রন্টির এত খেতে ইচ্ছে করছিল, কিন্তু মিস্টার চ্যাটার্জি পায়েসের ভাগ দেবে না। এমন সময় ফোন এল মিস্টার চ্যাটার্জিকে এক্ষুনি নাইট ডিউটিতে যেতে হবে। মিস্টার চ্যাটার্জি পায়েসের বাটিটা ফ্রিজে তুলে রেখে বলল, পরে খবো। কেউ ওতে হাত দেবে না।
রাত তখন একটা বাজে। মিসেস চ্যাটার্জির ঘুম আসছিল না। বাইরে বৃষ্টির ঝিরঝির। রীতিমতো রােমান্টিক পরিবেশ। আর থাকতে না পেরে রাতের স্বল্প বসনেই মিসেস চ্যাটার্জি রন্টির দরজার কড়া নাড়ল। রন্টি দরজা খুলতেই ঘরে ঢুকে মিসেস চ্যাটার্জি ফিসফিস করে রন্টিকে বলল— এই তােমার সুযােগ।
লােভে চকচক করে উঠল রন্টির চোখ। সে প্রশ্ন করল, সত্যি বলছেন বৌদি?
হুঁম, সত্যি। আবেশে বুজে এল মিসেস চ্যাটার্জির গলা।
ঠিক আছে, বলেই মিসেস চ্যাটার্জিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো রন্টি। ডাইনিং রুমে এসে ফ্রিজ খুলে বার করল সেই পায়েসের বাটি। তারপর চুকচুক করে সবটুকু পায়েস চেটেপুটে খেয়ে নিল রন্টি ।
৩। এক ঘণ্টা পরেই ফিরে আসবেন।
মিসেস চ্যাটার্জি : দেখো রন্টি, আমি তোমাকে সাবধান করে দিচ্ছি, আর এক ঘণ্টা পরেই আমার স্বামী ফিরে আসবেন।
রন্টি : কিন্তু বৌদি! আমি কোন কিছু অভদ্র বা অন্যায় আচরণ তো করছি না!!
মিসেস চ্যাটার্জি : সেজন্যই বলছি। যদি করতে হয় তবে সময় আর বেশী বাকি নেই।
৪। সেটা হল আমি
মিস্টার চ্যাটার্জি মদ খেয়ে মাতাল হয়ে রাস্তায় হোঁচট খেয়ে পড়ে গেল।
একজন ভদ্রলােক মিস্টার চ্যাটার্জিকে তুলে ধরে ধরে বাড়ি পর্যন্ত, পোঁছে দিল।
বাড়িতে ঢুকে মিস্টার চ্যাটার্জি বলল— আসুন স্যার। আপনি এত ভালাে লােক, আপনাকে আমার বাড়িটা ঘুরে দেখিয়ে দিই। এটা আমার নিজের বাড়ি। এটা, এটা হল আমার বৈঠকখানা।
ভদ্রলােক : সুন্দর ঘর।
মিস্টার চ্যাটার্জি : এদিকে আসুন, এটা আমার ডাইনিং হল ।
ভদ্রলোক : চমংকার ।
মিস্টার চ্যাটার্জি : এদিকে আসুন। দেখুন, এটা আমার শােবার ঘর। ওটা আমার বিছানা। বিছানায় যে মেয়েটি দেখছেন ওটা হল আমার স্ত্রী আর আমার স্ত্রীকে জড়িয়ে ঐ যে রন্টি শুয়ে আছে সেটা হল আমি।
৫। ভালাে মন্দ শিক্ষা
প্রযােজক একটি নবাগত নায়িকা নিয়ে এলেন নায়ক সুযােগ বিশ্বাসের কাছে ।
প্রযােজক : দেখাে সুযােগ বিশ্বাস, মেয়েটি সদ্য গাঁ থেকে এসেছে। খুবই সরল মেয়ে। জীবন কি, জীবনের ভালােমন্দ কি, কিছুই জানে না !
সুযােগ বিশ্বাস : ঠিক আছে, ‘ভালো’ কি সেটা আপনি শেখান, আর ‘মন্দ’ কি সেটা আমি শিখিয়ে দেবাে।
জোগাড় করা অল্প একটু দুষ্টু চুটকি - ০১
জোগাড় করা অল্প একটু দুষ্টু চুটকি - ০২
জোগাড় করা অল্প একটু দুষ্টু চুটকি - ০৩
জোগাড় করা অল্প একটু দুষ্টু চুটকি - ০৪
জোগাড় করা অল্প একটু দুষ্টু চুটকি - ০৫
জোগাড় করা অল্প একটু দুষ্টু চুটকি - ০৬
সূত্র: শচীন ভৌমিক এর লেখা থেকে সংগৃহীত।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৮