
দাদা কাহিনীর শেষ পর্বে বলেছিলাম আমার এক জেঠা আমাকে একটি চমৎকার বিদেশী সাইকেল কিনে দিয়ে ছিলেন। বয়স তখন ৬ কি ৭। তখন চিকন টেংটেংএ লম্বা ছিলাম। জেঠা আমাকে নিয়ে গেলেন গুলশান এক নাম্বার ডিসিসি (বর্তমান ডিএনসিসি) মার্কেটে। দেখে শুনে নীল রঙের একটি বিদেশী সাইকেল আমার পছন্দ হলো। কেনা হলো সেটিই।
আমার ধারনা ছিলো সাইকেলে উঠে বসবো আর সাইকেল চালাবো। কিন্তু হায়!! সাইকেলে উঠে বসতেই ধুম করে সাইকেল নিয়ে পরে গেলাম!! বেয়ারা সাইকলটা আমাকে নিয়ে কেনো পরে গেলো সেটাই তখন মাথায় ঢুকছিলো না। তাই বাধ্য হয়ে সাইকেলটিকে রিক্সায় উঠিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসতে হলো।
বাসায় নিয়ে আসার পরে আরো দুই একবার বেয়ারা সাইকেলটি আমাকে নিয়ে পরে যাবার পরে আমি বুঝতে পারলাম সাইকেলে বসলেই হবে না, একে চালানো শিখতে হবে। আমার বাসার কয়েকজন আমাকে পিছন থেকে সাইকেল সহ ধরে রেখে কিছুটা অনুশীলন করালো। এবার সাইকেলটা কিছুটা বাগে এলো। এখন আর আমাকে নিয়ে ধুম করে পড়ে যায় না। পরে যাওয়ার আগেই পা দিয়ে ঠেকিয়ে দিতে পারি। দুই পা দুই দিকে মাটিতে রেখে ঠেলে ঠেলে চালাই।
আমার বাসার সামনেই ছিলো একটি বেশ বড় মাঠ। যার দক্ষিণ দিকের কিছুটা অংশ উত্তর দিকের চেয়ে বেশ কিছুটা ঊঁচু ও ঢালু ছিলো। পরের দিন সকালেই সেখানে আমার সাইকেল চালানো শিক্ষা শুরু হলো। সাইকেলটি ঠেলে উপরে উঠিয়ে সাইকেলে বসে দুই পা দুই দিকে ছড়িয়ে দিয়ে নিচের দিকে গড়িয়ে যাওয়া। বেশ কয়েকবার পরে গিয়ে ছিলে-টিলে গেলো। শেষ পর্যন্ত এই পদ্ধতিটাও বাগে এসে গেলো। মাঠের শেষ পর্যন্ত চলে যেতে শিখে গেলাম। তবে শেষ মাথায় গিয়ে সাইকেল সহ কোনো একপাশে কাত হয়ে পরে যেতাম। একসময় কাত হয়ে পরে যাওয়াটাও আটকে দিতে শিখে গেলাম। তারপর পেডেল মারাও শিখে গেলাম। এবং একসময় দেখা গেলো সমতল যায়গা থেকেও সাইকেল পেডেল মেরে চালানো শিখে গেছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


