কিছু কিছু মানুষের জীবনেএএএএএএ, রান্না করতে চাওয়াটাই ভুলউলললললল,
সারাটি জীবন ধরে দিতে হয়্য়য়য়য়, শুধু সেই ভুলের মাশুলউললউলউলল!
ন!হ, ন!হ ন!হ।
"বড়ই বিচিত্র মানুষের জীবন, যা চায় পায়না, পেলে চায়না!" বলছিলাম আনন্দকে কিছু আগে। সেদিন আনন্দ বললো ওকে পায়েশ রান্না করে দিতে হবে। বললাম, চেষ্টা করবো, তবে পায়েশ না হলে আমার কোনো দোষ হবেনা।
মধ্যক্ষন,
কিন্তু পরে ভাবলাম, আমি কেনো রান্না করবো? ইয়ে মানে আমি আবার রান্নায় একটু দুর্বল। :#> আনন্দর রান্নার উপর নির্ভর করবো ভাবছি সারা জীবন, আর ও এখনি আমার পরীক্ষা নিতে চাচ্ছে! মতলব কি, কে জানে? আমি রান্নাঘরের নিকটে নাই এর পর থেকে! ভাবলাম, পাবেনা, পাবেনা, আমার রান্না তুমি আর পাবেনা। মু হা হা!
তবে, দুদিন পরে, মনে মনে ভাবলাম সে সাধ করে চেয়েছে, বানানোর চেষ্টা করা উচিত, নিজের রান্নার শিক্ষারও অগ্রগতি হবে, ওর ইচ্ছাও পূরন হবে। যদিও আমার রান্না শেখার কোন আশা বা ভরসা নেই, তবুও; ভালবাসা কত কিছুই না করতে বাধ্য করে! হায়রে নিস্বার্থ ভালবাসা!
রান্না করার চেষ্টা যে কত ব্যর্থ ছিল, তা বর্ননা করবো না; কতবারো ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, তাহারে দিব খাইতে পায়েশ ভরিয়া, সে জানিল, সে পায়েশে কলঙ্ক, সে দেখিলো না মোর অশ্রু ধোয়ায় ভর । শুধু বলবো রান্না শেষে, এক চামচ মুখে নিয়ে পানি চাইলো ইশারায় আনন্দ। আমার চোখে তখন জল চলে আসলো। আমার সাধ না মিটিলো, আশা না পুরিলো, সকলি পুরা যায় রে চুলা....
এটা কি হলো?
শেষক্ষন,
আপাতত ঘরে কারফিউ চলছে। রান্না করেছি, বেশ করেছি, খেলে খাবে, না হলে ঘুমাও গিয়ে, এটাই শেষ কথা! ছৌধুরী, আমি রান্না না জানলেও, ভালো শাসন করতে জানি! মু হা হা! :>
সবাই ভালো থাকবেন, বুঝলেন?
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪৩