ঘটনা ১
-শাড়ি পড়লে একটা ঝামেলা আছে। ডান হাত মুভ করানো যায় না। এরচেয়ে আমার টি-শার্ট জিন্স অনেক ভালো।
-শাড়িতে আপনাকে অনেক ভালো লাগে। বাঙ্গালী নারীর সাথে শাড়ির সম্পর্ক আছে। ডান হাত মুভ করে কি করবেন?
-আপনি বুঝবেন না। উঠে বসুন। রেস্টুরেন্ট ঠিক করেছেন?
-না আমি আসলে অনলাইনে অর্ডার দিই তো। বাইরে থেকে তেমন একটা খাওয়া হয়না।
-আমার পরিচিত আছে, যাবেন?
-চলুন যাই। সবজি আছে ভালো?
-হু।
ঘটনা ২
-তারপর বলুন। আপনার এক্সপেক্টেশন কি?
-আপনি রান্না জানেন?
-কি? এটা সত্তর দশক নাকি? না আমি ভুল শুনলাম?
-না,,,,থাক। হোস্টেলে, মেসে ছিলাম তো। মাঝে মাঝে অনেক পেটুক হয়ে যাই।
-এ প্রশ্নগুলো বিয়ের আগে করতে হয়। হুট করে বিয়ে করে বসে আছেন। এখন যদি বলি আমি শুধু পানি গরম করতে পারি, তাহলে?
-(দীর্ঘশ্বাস)
-এছাড়া আর কোন এক্সপেক্টেশন নেই? অমন মুখ করে বসে আছেন কেন?
-আমি খাবারের স্বাদ খুঁজে বেড়াই। ২০০ বছর আগের মাটির পাত্রে মাটন কিংবা লাল শাক দিয়ে ভাত খেতে পারলে নিজেকে খুব সুখী মনে করতাম।স্বাদের জন্য সিগারেট ছেড়ে দিয়েছি।
-ইন্টারেস্টিং। কিন্তু আমি,,,,,,
-খাবার এসে গেছে।
ঘটনা ৩
-আজ কোথাও ঘুরতে যাবেন?
-চলুন যাই। আপনাকে তো বৃহস্পতিবার ছাড়া দেখাই যায়না। কোথাও দেখেছেন, বিয়ের পর -আলাদা রুমে কেউ ঘাপটি মেরে বসে থাকে?
-শাড়ি পড়বেন?
-(মুচকি হাসি) আপনি অদ্ভুত মানুষ।
-আজ ওদিকটায় যাব না। শুনলাম খুব ছিনতাই বেড়েছে।
-কিছু হবে না। ১০ মিনিট সময় দিন। আসছি।
ঘটনা ৪
-নাটক টা ভালো ছিল, তাই না?
-হু। আজ রাতে কি খাবেন?
-এইতো বাইরে থেকে আনিয়ে নেবো কিছু একটা গিয়ে।
-না আমাকে বলুন।
-আম,,,,,,থাক না।
-বলে দেখুন না। যদি পারি?
-নরমাল কিছু একটা। ফ্রাইড রাইস। স্পাইসি চিকেন কারি। মিষ্টি হলে হবে না স্পাইসি হতে হবে। পারবেন?
-(মুচকি হেসে) ফ্রিজে তো আছে মাংস। দেখা যাক। রিকশাটা ছেড়ে দিন। চলুন একটু হাটি।
-এই অন্ধকার রাস্তায়? ভালো না রাস্তাটা।
-বেশি চিন্তা করছেন।
-চিন্তা করছি না। হচ্ছে। আমি একটু প্যারানয়েড এসব ব্যাপারে।
ঘটনা ৫
-যা লাগে নিয়ে নেন। গায়ে হাত দিবেন না প্লিজ।
-কি নতুন বউ লইয়া যাস? হেব্বি তো ফিগার টা। তুই যা। দিয়া আসমু। ঐ অরে রিক্সা দিয়া পাঠায় দে।
-এতক্ষণ ভালোভাবে বলেছি।
-কি করবেন আংকেল? তারে ভালভাবে বোঝাতো। আর ভাবি এতো চুপ ক্যা? এদিকে আসেন একটু আদর করি।
ঘটনা ৬
-আউফ,,,,,,আহ,,,,,শীট
-এটা কামড়ে ধরো। এতো কাঁপছো কেন? ইটস ওকে।
-হোয়াট ওয়াজ দ্যাট?
-লাস্ট ওয়ান। এইতো হয়ে গেছে।তোমার তো দেখি সাড়ে চার প্যাক এবস আছে। ওয়াও
-আই কান্ট বিলিভ মাই আইজ। ওরা,,,, ওরা কি?
-ইউ গেভ দেম চয়েজ। দে ডিডন্ট টেইক ইট।
-বাচ্চা ছিলো ওরা।
-উহু। একুশ-বাইশ হবে। সবচেয়ে কম ছেলেটার । তুমি তো খুব ফর্সা। রিপড (শিস দিয়ে)। ওয়ার্কআউট করো নাকি? কখন যাও? নাকি ওই ঘরের ভেতরে? আমাকেও ডাকো সাথে?
-তুমি,,, তুমি কথা ঘুরিয়ো না। হু আর ইউ?
-জিজ্ঞাসা করা উচিত, তোমার কোথাও লেগেছে কিনা? বলেছিলাম না, শাড়িতে ডান হাত মুভ করানো কষ্টকর। নইলে আরো আগে বাসায় পৌছে যেতাম। শাওয়ার শেষ করে খাবার টেবিলে আসো।
ঘটনা ৭
-তোমার ব্যাপারটা আমার ভালো লেগেছে। তুমি আমাকে প্রটেক্ট করতে চেয়েছিলে। বাট ইউ আর ইন শক। আজ আমি তোমার সাথে শোব।
-(ভীত দৃষ্টি)
-ওভাবে তাকিয়ে আছ কেন?আমি তোমার জন্য রান্না করেছি। টেক ইউর টাইম। কিন্তু খেয়ে বলতে হবে কেমন হয়েছে ।
-তুমি কে?
-তুমি কি দেখেছো? আই মিন হোয়াট ডু ইউ রিমেম্বার?
-আ,,,আমি,,,,
-টেক ইউর টাইম। (শীতল কন্ঠে)
-তোমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে। বীভৎস দৃশ্য। তুমি ওদের,,,,,
-কি?
-গলায় তোমার খোঁপার লাল পেন্সিল বসিয়ে দিয়েছ।
-আর?
- একজনের ঘাড় চিড়ে ফেলেছো। চারদিকে কত রক্ত।
-আর কি দেখেছো?
-তোমার চোখ। এখনকার মতো শান্ত। মনে হয় যেনো কিছুই হয়নি। তোমাকে ধরে নিয়ে যাবে।
-পয়েটিক, হ্যা? প্রমাণ পাবে না। তুমি কি বলবে, পুলিশকে?
-না না। আপনি আমাকে ছেড়ে দেন। আমি কাউকে বলবো না।
-আমি জানি তুমি বলবে না। আর আমি তোমাকে ছাড়বো কেন। আপনি করে বললে আরো একটা হয়ে যাবে হয়তো। এগুলো আমার জন্য নতুন নয়। খাও।
-কিভাবে?
-আমার দিকে তাকাও। আমায় দেখতে কেমন?
ঘটনা ৮
-আমি ঠিক আছি। তুমি তোমার ঘরে যেতে পারো।
-এদিকে ফেরাও মুখ। আচ্ছা যাও। ফেরাতে হবে না। খাবার কেমন হয়েছে?
-(ফিসফিস করে) বললে হয়তো বিশ্বাস করবে না। আমার খুব ভালো লেগেছে।
-আচ্ছা আরেকদিন না হয় বলো। আই ওয়ান্ট আনবায়াসড কমপ্লিমেন্টস।
-না, সত্যিই খুব ভালো লেগেছে।
-তুমি আমার জন্য এত কিছু করলে। সামান্য রান্না টুকু করবো না তোমার জন্য? তোমাকে একটু জড়িয়ে ধরি?
-হহহ্যা,,।
-আচ্ছা, আমায় দেখতে কেমন? আরে তুমি এতো কাঁপছো কেন বোকা!!