somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাকে তোমার পছন্দ হয়নি?

২১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ঘটনা-১
-- ঘুম হয়েছে?
-- হ্যা। বাচ্চাদের মতো। তোমার সাথে আমার কথা বলতে হবে।
-- ওসব কথা মাথায় এনো না। আমি আরো ইন্টারেস্টিং মানুষ।
-- আমি কি ভাবছি বলে তোমার মনে হয়?
-- আচ্ছা বাদ দাও। এই নাও তোমার সুগার ফ্রি প্রোটিন শেইক।
-- তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে কিছুই হয়নি। হাউ কুড ইউ বি সো কাম আফটার দ্যাট?
-- এর উল্টোটা ঘটলে আমার কি হতো তা কি তোমার কল্পনায় আসে নি?
-- তাই বলে,,,,,
-- তুমি কি সকাল টা এইভাবেই শুরু করতে চাও?অফিসের সময় হয়ে গেছে। সিংগেল নটে লাল টাইটা পরে ভাগো।
-- হু আর ইউ?

ঘটনা - ২
-- কিরে তোর এই অবস্থা ক্যান? পুরা বয়ামের শেষ বিস্কুটের মতো তেনাইয়া গেসস। ঘটনা কি?
-- আমি তো ঠিকই আছি।
-- দেখি চশমাটা খোল তো। বিয়ে করলেতো শুনছি লাভওয়েট হয়। ভুটানের মানচিত্র হইয়া গেসে চেহারা।
-- একটা সিগারেট দে তো।
-- কি হইসে তোর ভাই? তুইতো ছেড়ে দিসিলি।
-- যা লাগবেনা আমি কিনে খাব!!
-- আরে বাপরে। নে ধর। ভাবির সাথে ঝামেলা,,,,
-- একটু শান্তিতে সিগারেট টা খাই??
-- চিন্তা করিস না। ঠিক হয়ে যাবে বুঝলি। নাথিং’স পার্মানেন্ট।
-- হাহ! ইয়া রাইট।

ঘটনা- ৩

-- তুমি কি সিগারেট খেয়ে আসছো ইদানীং। ছেড়ে দিয়েছিলে না?
-- হু। অফিসের চাপটা নেয়া যাচ্ছে না ।
-- এই কারনে আমার সাথে কথা বলতেও পারছো না তাই না?
-- ব্যাপারটা তেমন না।
-- ব্যাপারটা কেমন?
-- জটিলতায় আমি হাপিয়ে উঠি। তাই ব্রেনের এই কম্পলিকেট স্টেটটা মানিয়ে নিতে সময় লাগছে।
-- ব্যাপারটা সোজা। মেডিকেল পার্পাসে হলেও ওয়ান ম্যান শ্যুড হেভ এনাফ,,,,,,, । স্ট্রেস রিলিভ করে দেব?
-- আমাকে কিছু জিনিস সর্ট আউট করতে হবে।
-- তোমাকে বলেছি এসব আমার কাছে নতুন নয়। অসুস্থ মানুষদের বেচে থেকে সমাজের কি লাভ? আমার একটা অতীত আছে ওখানে। তোমার আমার প্রতি আগ্রহ বোধ না হবার কারণ কি একমাত্র এটাই?
-- আমি অতীত নিয়ে কখনো মাথা ঘামাইনা।
-- তুমি আমাকে নিয়েও মাথা ঘামাওনা। আমাকে স্পর্শ করেছো কখনো? কোথায় যাচ্ছো?
-- আমি একটু একা থাকতে চাই।
-- বনে গিয়ে থাকো। অপেক্ষাকৃত সহজ। সিগারেট টা খেও না। ব্যায়াম, সিগারেটের ধকল ফুসফুস একসাথে নিতে পারবেনা।

ঘটনা ৪

-- হ্যালো শুনতে পাচ্ছো?
-- হু।
-- আসার সময় কিছু ক্যাপসিকাম আনতে পারবে?
-- আচ্ছা।
-- আজকে আমরা কথা বলতে পারি ডিনারে। আমারো কিছু কথা বলার ছিলো।। এভাবে আমরা সামনে এগুতে পারিনা।
-- হু।
-- আমার মনে হয় আমার ফিরে যাওয়া উচিত।
-- রাশিয়া?
-- নাহ, আমার বাবার বাসায়।
-- আমি জানিনা আমার কি বলা উচিত এখানে।
-- তুমি নিজেকে আয়নায় দেখোনি বহুদিন। চুপসে গেছো। আই কান্ট লেট দেট হ্যাপেন টু য়্যু।
-- এসে কথা বলি।
-- ক্যাপসিকাম মনে থাকবে?
-- হু।

ঘটনা ৫

-- বাইরে প্রচন্ড বৃস্টি হচ্ছে। খেতে কেমন হয়েছে?
-- ভালো।
-- তুমি মনোসিলেবিক হয়ে গেছো। বলো আমরা কিভাবে আমাদের এই অবস্থা ফিক্স করতে পারি। নাকি তুমি চাও আমি বাবার কাছে চলে যাই?
-- বাবা জানে?
-- না।
-- প্রথম দিন দেখা হবার পর আমি কিছুক্ষণ ব্লান্ট হয়ে গিয়েছিলাম। ডার্ক ডিপ আইজ। স্থির। মনে হয় যেনো তোমার চোখ দুটো আমার ভেতরটা পড়ে ফেলছে। পরে এমন হয়েছিলো শাড়ি পড়েছিলে যেদিন,, মানে ঐ দিন,,
-- এসব কেনো বলছো?
-- ব্যাম্বুজল্ড হয়ে আছি। নেভার মাইন্ড।
-- বিয়ের এক সপ্তাহ আগে একটা ঘটনা মনে আছে? ঐ যে দোজ লিচেস,,,,, ঐ যে মেয়েটাকে ওরা,,,
-- ওদেরকেও তো কেউ একজন,,,তুমি,,,,,
-- আমি বলেছিলাম এগুলো আমার কাছে নতুন নয়। আমাকে কিছু মানুষ পাগলের মতো খুজছে। বাট আ'ম ভেরি গুড এট মাই জব। আই টেক প্রাইড ইন মাই ওয়ার্ক। আনটিল আই গট ম্যারিড টু আ স্টুপিড হার্টলেস ম্যান। আই ব্রোক মাই কোড। আই গট সফট।
-- আমি,,,,,হার্টলেস?
-- কিভাবে যেনো সব বেরিয়ে পড়েছে তোমার সামনে। আমি একটু শো অফ করেছি অনেস্টলি স্পিকিং। ইউ আর ইনভলবড । তোমাকে ছাড়বো কিভাবে? আই হেইট ট্রেইলস বাট দিস টাইম আই হ্যাড টু স্পেয়ার সামবডি।
-- অহ,,,,,,, হাও ম্যানি হ্যাভ ইউ,,,
-- আই লস্ট দ্য নাম্বার। এটা কঠিন। কিন্তু তুমি কি এটা ভুলে যেতে পারো?
-- আমি,,,,,
-- আই ওয়ান্ট আ লাইফ উইথ ইউ অ্যান্ড আ লট অফ কিডস। আমি জানি আমাদের বাচ্চাগুলো অনেক সুন্দর হবে। আমি কাল বাবার ওখানে যাবো। তুমি কয়েকদিন ভাবো। তবে অত সময় নিও না।
-- আমি যদি পুলিশের কাছে গিয়ে সব বলে দিই?
-- হি হি হি,,,,এটাও করতে পারো। আমাকে তোমার পছন্দ হয়নি?

ঘটনা-৬
-- এক সপ্তাহ ছুটি নাও বুঝলা।
-- কেন বস?
-- আরে তোরে নিয়া কোন কিছু কইসি আমি? তোর পেছনে কইসি?
-- না বস।
-- সামথিং ইজ অফ, ম্যান। আই ফিল ইট। সংসারেই ঝামেলা থাকে। কিন্তু মেইন জিনিস হইল মানুষটা তোরে দিনশেষে এক্সেপ্ট করে কিনা। চায় কিনা।
-- হিয়ারিং ফ্রম আ ম্যান হু ইজ হ্যাভিং থার্ড ডিভোর্স অন দ্য ওয়ে।
-- আর একটু হইলেই তোর নতুন চাকরি খোজা লাগতো বুঝছস। যা ভাগ। এক সপ্তাহ তুই চেহারা দেখাবিনা।
-- আরে না বস। ইম্পোর্টেন্ট মিটিং আছে।
-- জাহান্নামে যাক। একলা কি তুই চালাস আমার অফিস?
-- বাসায় থাকলে মারা যাব বস।
-- জিমে যাইয়া মর গা যা। অফিসে যাতে না দেখি এই খোমা নিয়া। আউট!!!

ঘটনা ৭
-- হ্যালো
-- খেয়েছো?
-- হু
-- কি?
-- প্রথমে নুডুলস সিদ্ধ বসিয়েছি। তার উপর ডিম ভেঙে দিয়ে দিয়েছি। একসাথে হয়ে গিয়েছে। এটাকে কি নাম দেবে জানিনা।
-- ঔষধ। কোথায় তুমি?
-- বাসায়।
-- অফিস?
-- বস বের করে দিয়েছে। এই চেহারা নাকি পছন্দ হচ্ছে না কদিন যাবত।
-- আমার ব্যাপারে তুমি অনেক সময় নিচ্ছো। আমাকে তোমার পছন্দ হয় নি?
-- এসব বাদ দেয়া যায় না?
-- তুমি বললে,,,, তাই হবে। তোমাকে আমার খুব পছন্দ। বাসায় চলে আসি? নতুন একটা রান্না ঘুরছে মাথায়।
-- হু।
-- হু মানে? আসবো?
-- চলে এসো৷

ঘটনা ৮
-- দরজা খুলতে এতক্ষন লাগলো?
-- শাওয়ারে ছিলাম।
-- অমন করে কি দেখছো?
-- ডার্ক ডিপ আইজ।
-- চাইলে আরেকটু সামনে থেকে দেখতে পারো।
-- না ঠিক আছে।
-- আই উইল নট কিল দিস ওয়ান।
-- কিছু বলছিলে?
-- আমাদের রুমে চলো।
-- খাবে না?
-- খেতেই যাচ্ছি। তবে খাবার না। চলো। তার আগে একটা কথা বলো। আমাকে তোমার পছন্দ হয়নি?
-- হু।
-- নাও হাতটা ধরো। টেক আ ডিপ ব্রেথ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০৪
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×