ভাবছিলাম কিছুই লিখব না। এত ব্যস্ত সময় যাচ্ছে, যে কিছু লেখার সময় করতে পারছিনা। কিন্তু, একটু আগে প্রথম আলোর একটা লেখা দেখে (Click This Link ) চুপ করে থাকতে পারলাম না। আমাকে লিখতেই হল।
এই রেশমা চরিত্র অজস্র জল্পনা-কল্পনার জন্মদাতা। কারও কারও মতে, তার চরিত্রটা সম্পুর্ন সাজানো। কারও কারও মতে এটা সত্য ঘটনা। কিন্তু, এই ঘটনার কত রকম ফের যে কানে এলো! প্রথমে শুনলাম, তাকে নিচ তলার মসজিদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার পর শুনলাম, তিনি মসজিদের কলের পানি আর সাথে থাকা বিস্কুট খেয়ে বেচে ছিলেন। তারপর শুনলাম, কল বন্ধ ছিল। পানি ছিল না। তিনি দো’তলায় ছিলেন। সেখানে কে বা কারা তাকে বিস্কুট আর পানি দিয়েছে। যেখানে মানুষের আওয়াজ পৌছায়নি সেখানে খাদ্য পৌছে গেছে। পরে শুনলাম, না, তিনি তৃতীয় তলার একটা মার্কেটে আটকা পরেন, যেখান থেকে নতুন কাপড় গায়ে তিনি বের হয়ে আসেন।
আরও শুনলাম, তার এক হাত উপরে একটা পিলার ছিল। তিনি নড়তে চড়তে পারেননি। আবার শুনলাম, তিনি এর মধ্যেই কাপড় বদলালেন। আবার দেখলাম, বের হবার পর তার চোখ বাধা নেই। তিনি দিব্যি দেখতে পাচ্ছেন। অবশ্য, এখানে আমার ঈমানের কিছু গাফিলতি থাকতে পারে। যিনি ওই রকম একটা পরিবেশে এত দিন ভালো ভাবে বেচেছিলেন, তার চোখ দু’টোকে ঠিক রাখা আল্লাহর জন্য খুব বড় কিছু না।
আসলে, এই চরিত্রটার কথা ভাবলে নিজেকে খুব বোকা লাগে। তাই আপনাদের বিরক্ত করা। সত্য মিথ্যা কিছুই বুঝিনা। কেউ একটু বলেন কি ঘটেছে। আমি জানি, আপনারাও আমার মত বেকুব হয়ে আছেন এই ব্যপারে।
এই লেখার শেষ যে কি দিয়ে করব, তাও ঠিক ভেবে পাচ্ছি না। তাই অসম্পুর্নতাই এর পরিনতি।