আমরা সব সময় খোমেনীর জঙ্গি শরীয়া শাসনের বিরোধী, কিন্তু ইরানের নিপীড়িত জনগণের পক্ষে।
আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট: আমরা কখনোই খোমেনীর প্রতিষ্ঠিত ধর্মীয় স্বৈরাচার এবং জঙ্গিবাদী শরীয়া শাসনের পক্ষে ছিলাম না, এখনও না। এই শাসনব্যবস্থা ইরানের জনগণের বাকস্বাধীনতা, মানবাধিকার, নারী অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করেছে। ধর্মের নামে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ, নারী ও সংখ্যালঘুদের উপর দমন-পীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস এসব আমরা ঘৃণা করি এবং এর দৃঢ় বিরোধিতা করি।
তবে এর মানে এই নয় যে আমরা ইরান নামক রাষ্ট্র বা তার জনগণের বিরুদ্ধে। বরং আমরা বরাবরই ইরানের সাধারণ, নিপীড়িত মানুষের পক্ষে। যারা রাস্তায় নেমে স্বাধীনতা, ন্যায্যতা, মানবিক মর্যাদা ও গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিচ্ছে, যারা ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’এই স্লোগান নিয়ে সংগ্রাম করছে, আমরা তাদের কণ্ঠের প্রতিধ্বনি।
আমরা মনে করি ইরান একটি মহান সভ্যতার ধারক জাতি, কিন্তু তাদের জনগণ আজ ধর্মান্ধ একনায়কত্বের শিকার। আমরা ইরানের জনগণের পাশে আছি শাসকের পাশে নয়।