‘জামাতী কেঙ্গারু কোর্টের’ রায়ের বিরুদ্ধে আজ পুরো জাতি একাত্মতার মশাল উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
--------------------------------------------------------------------
বাংলাদেশের জন্মলগ্নে যে রাজনৈতিক শক্তি জনগণকে স্বাধীনতার পথে ঐক্যবদ্ধ করেছিল, সেই আওয়ামী লীগই এই জাতির রাষ্ট্রগঠনের মূল ভিত্তি। বাংলাদেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের উদ্ভব ও সংগ্রাম না হলে, হয়তো আজ “বাংলাদেশ” নামের স্বাধীন রাষ্ট্র পৃথিবীর মানচিত্রে স্থায়ী আসন পেত না।
দেশপ্রেম, গণমানুষের আশা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সবই এই দলের ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
এই দল আজও বাংলাদেশে আছে, ভবিষ্যতেও বাংলাদেশেই থাকবে ।জনগণের সমর্থনে, ইতিহাসের শক্তিতে, ইনশাআল্লাহ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
কিন্তু জাতি আজ আবারো একটি গভীর উদ্বেগের সম্মুখীন। দেশের বৃহৎ অংশের মানুষের দৃষ্টিতে যে বিচারিক প্রক্রিয়াগুলো স্বচ্ছ নয়, গণতান্ত্রিক মানদণ্ডে অসঙ্গত, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সেগুলো নিয়ে ক্ষোভ, আতঙ্ক ও প্রশ্ন জোরদার হচ্ছে।
অনেকে আশঙ্কা করছেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি কিংবা তাদের ছায়ামিত্ররা বিচার ব্যবস্থার নামে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করছে, যা মূলত রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে দমন করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত “ক্যাম্পেইন”এক ধরনের কেঙ্গারু কোর্টের কালো ছায়া, যেখানে রায় আগে ঠিক হয়, প্রক্রিয়া পরে সাজানো হয়।
যে কোনো রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত, সমালোচনা কিংবা আইনি প্রক্রিয়া সবই গণতন্ত্রের অংশ।
কিন্তু যখন বিচার নিয়ে জনগণের আস্থা নড়বড়ে হয়ে যায়, যখন একটি বড় অংশ মনে করে এটি “বিচারের নামে প্রতিশোধ”তখন সেই বিচার আর সাধারণ বিচার থাকে না; তা হয়ে ওঠে দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে হুমকি।
আজকের পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেওয়া রায়কে অনেকেই সেই প্রেক্ষাপটেই দেখছেন।
রাজাকারদের উত্তরসূরি বা স্বার্থান্বেষী মহলের রাজনৈতিক প্রতিশোধ
এমন এক আশঙ্কা যা সমাজে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতি শুধু একজন নেতার বিরুদ্ধে নয়; এটি পুরো দেশ, পুরো গণতন্ত্র, এবং মুক্তিযুদ্ধের অমর চেতনার বিরুদ্ধে দাঁড় করায়।
বাংলাদেশের জনগণ কখনোই অন্যায়ের সামনে মাথা নত করেনি আর করবেও না কোনদিন। স্বাধীনতার যুদ্ধই তার সর্বোচ্চ প্রমাণ।
আজও জনগণের মধ্যে সেই প্রশ্ন ধ্বনিত।
বিচার, না রাজনৈতিক শত্রুতার ছদ্মবেশ?
আইনের শাসন, না ক্ষমতাকে বন্দী করার চেষ্টা?
একটি রাষ্ট্র টিকে থাকে ন্যায়, স্বচ্ছতা, এবং জনগণের আস্থার উপর।
যে বিচার জনগণের বিশ্বাস হারায়, তা ইতিহাসে টেকে না সময়ের কঠিন পরীক্ষায় ভেঙে পড়ে।
বাংলাদেশের মানুষ আবারও প্রমাণ করবে।
এই দেশ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির।
এই দেশ অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে জানে।
এই দেশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী।
এই দেশ আওয়ামী লীগের জন্মদাতা জনগণের দেশ যাদের হৃদয়ের মধ্যেই বাংলাদেশ।
জয় বাংলা।
জয় বঙ্গবন্ধু।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


