somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

করোনা ও আমরা

০৪ ঠা জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

করোনা ও আমরা

কভিড-১৯ এর আক্রমনে সারা বিশ্ব আজ পর্যদুস্ত। বাঘা বাঘা ও ক্ষমতা ধর সব রাষ্ট্র আজ ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র এই জীবানু র কাছে অসহায় ভাবে আত্মসমর্পন করেও রেহাই পাচ্ছে না। অসহায় ভাবে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে সাধারন মানুষের মৃত্যু।
চেষ্টা চলছে এই জীবানুকে টেক্কা দেওয়ার। কিন্তু রোগের আক্রমনের তুলনায় সেই চেষ্টার গতি অনেক কম, ফলে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল।
সেই তুলনায় আমাদের দেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অনেক কম।
চলছে অফিস, চলছে গাড়ি ঘোড়া, লঞ্চ, ট্রেন, বাস, রিকশা, বেবি টেক্সি, কার, মাইক্রো সবই।
বন্ধ নেই শপিং মল, মর্কেট, কাচা বাজার, সহ সব ধরনের নিত্য পন্যের বাাজার।
কাজ চলছে গার্মেন্টস, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠান, সুদি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা সব।
মসজিদ, মন্দির, গীর্জ আর প্যাগোডাও খুলে দেওয়া হয়েছে।
সবই সময়ের প্রয়োজনে, এটাই বাস্তবতা। জীবানুর ভয়ে কতক্ষন পালিয়ে থাকা যাবে?
খুলে দেওয়া প্রতিষ্ঠান সমূহে মানা হচ্ছে না কোন স্বাস্থ্য বিধি, নেই কোন বাধ্যবাধকত, সচেতনাত।
চলছে নাকাওয়াস্তে লক ডাউন নামের তামাশা।

অসহায় শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
আজ দেড়টি বছর ধরে বন্ধ জাতির মেরুদন্ড সোজা রাখার মাধ্যম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমাদের সন্তানরা আজ বই খাতার ব্যবহার ভুলে ব্যস্ত পাবজি আর ফ্রি ফায়ার খেলা নিয়ে।
অসহায় আজ শিক্ষক গন। সবই করতে পারছেন, কিন্তু তার ছাত্রদের পড়ানোর বেলায় সব নিষেধাঙ্গা।
অসহায় আজ অভিভাবক গন, সন্তানকে সব দিতে পারছেন, নিতে পারছেন বেড়াতে, মার্কেটে, শপিং এ, আত্মীয়র বাড়ীতে। শুধু নিতে পারছেন না স্কুলে।
কারণ সব কোভিড-১৯ জীবাণু আশ্রয় নিয়েছে বালাদেশের স্কুল, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে। বাংলাদেশের নীতি নির্ধারক ও বিজ্ঞানী গনএই তথ্য আবিস্কার করতে পেরে যার পরনাই খুশী যে তারা কোন ভাবেই আর অসহায় বাচ্চাগুলোকে জীবানুর মুখোমুখি করতে রাজি নন।
তাইতো এই সব অকুতোভয় দেশপ্রেমিগণ স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলতে দিতে নারাজ।
তাতে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেলে কি হবে, সন্তানতো বাচবে।
সন্তানের করোনা বাস ভর্তি মানুষের মাঝে গেলে হবে না, কারণ যাত্রী বোঝাই বাসে করোনা ভয় পায়।
লোকে লোকারণ্য মার্কেটে বাচ্চার শপিং করছে, ওখানেও করোনা যায় না।
ঠাসাঠাসি করে কাচার বাজার হতে বাজার করলেও করোনার ভয় নাই, কারণ করোনা কাচা জিনিস খায় না, তাই সে কাচা বাজারেও যায় না।
অফিস আদালতেও করোনা যাচ্চে না, কারণ সে বড়ই অলস, কাজকে ভয় পায়।

করোনা বড় জ্ঞানী, তাই সে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যলয় গুলোতে স্থান করে নিয়েছে। বড়ই জ্ঞান পিয়াসী জীবানু এই কোভিড-১৯। আর আমাদের দেশের বিচক্ষণ নীতি নির্ধারক গণ সেই বিষয়টি খুব ভালো ভাবে বুঝতে পেরে বাচ্চাদের ছুটি দিয়ে দিয়েছেন নাকে তেল দিয়ে ঘুমানেরার জন্যে।

থাকুক না শিক্ষা র আলো ছাড়া জাতির ভবিষ্যত, বেচেতো থাকবে তারা? কিন্তু কত দিন এভাবে চলবে? দীর্ঘ দিন হলে এই বেচে থাকার কোন মূল্য কি আছে?
খুলে দেওয়া হোক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জাতির ভবিষ্যত সুরক্ষার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে কোনটি মত এবং কোনটি মতভেদ?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৫৪




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কতভাগ ব্লগার মহা-ডাকাত তারেককে সরকারে দেখতে চায়?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১২



জিয়া মিথ্যা হ্যাঁ/না ভোটে সামরিক এডমিনিষ্ট্রেটর থেকে আইয়ুবের নতো দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলো, ৫% ভোটকে মিথ্যুকেরা ৯৮% বলেছিলো ; আওয়ামী লীগ বাধা দিতে পারেনি। জিয়ার মৃত্যুর পর, বেগম জিয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাষ্ট্র যখন হত্যার দর্শক

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৯

রাষ্ট্র যখন হত্যার দর্শক
দায়হীন সরকারের শাসনে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে?


দিপু চন্দ্র দাস মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন—
“আমি নবীকে নিয়ে কিছু বলিনি, আমাকে মারবেন না।”
রাষ্ট্র তখন কোথায় ছিল?

আগুনে পুড়তে পুড়তে ছোট্ট আয়েশা চিৎকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=একটি ডায়াটের গল্প, যেভাবে ওজন কমিয়েছিলাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮


১৬ ডিসেম্বরের খাবার ছিল। উপরের চায়ের ছবিতে ফেসবুকের দুই গ্রুপে দুটো পুরস্কার পেয়েছি প্রতিযোগিতায় আলহামদুলিল্লাহ।

মোবাইলে পোস্ট, ভুল ত্রুটি থাকিতে পারে, মার্জনীয় দৃষ্টিতে রাখবেন।

জব করি বাংলাদেশ ব্যাংকে। সারাদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

'আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান'

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯



১। মার্টিন লুথার কিং ১৯৬৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
আমাদের মহাত্মা গান্ধীর কর্মকান্ড লুথার খুবই পছন্দ করতেন। ১৯৫৫ সালে লুথার বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ফিলোসোফি ডিগ্রি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×