
ছবিঃ আপনজন
আমার মামার বাড়ি ছাব্বিশা। আম্মার সাথে অনেক বার গিয়েছি। খুব ভালো লাগত শহর পেরিয়ে মাঠ আকাবাকা রাস্তা। পুকুর সহ বড় বাড়ি। তালগাছে বাবুই পাখির বাসা। নানার হাতে তৈরী কাঠের পাতলা তক্তা দিয়ে বানানো কবুতরের খোপ।কবুতরের খাবার দেওয়ার দৃশ্য।
মামাদের সাথে গোসল করতে যাওয়া মটারের পানিতে গড়াগড়ি খাওয়া। মাটি কাটার পর নিচু হয়ে যায়গায় নামা। পালিয়ে আলিফ লায়লা সাপ্তাহের ছবি নাটক দেখা।মামির হাতের মজাদার রান্নার খাবার খাওয়া। খেলাধুলা করার সময় চিল্লা চিল্লি হৈ হুল্লোর বেশি করায় ছোট মামার দৌড়ানি খাওয়া।
ছোট খালার বিয়ে। আমি মায়ের সাথে নানা বাড়িতে আসলাম।ইষ্টি কুটুম ভরা বাড়ি।আমি লিমন মামা শফিক মামার রুমে ঘুমালাম। লিমন মামা আমাকে খেপানোর জন্য উকুন বলে ঢাকতো। আমি রাগান্বিত হতাম। মামা আদর করে দিত। নানীর আবার র উচ্চারণে সমস্যা উকন বলে ডাকত রেজাউল রে ডাকত এজাউল। রাতে ঘুম ভাঙল। রমরমা বিয়ে বাড়ির আওয়াজ কানে আসতেই বিছানা থেকে নেমে বের হয়ে মামার ঘড়ে গেলাম মামি মিষ্টি দিল খেয়ে মামার ঘড়ে এসে ঘুমালাম। বিয়ের দিন আব্বা নানা বাড়িতে আসলো আমি অনেক খুশি ছিলাম।
নানা খুব অসুস্থ হঠাৎ করেই নানা বাড়িতে আসলাম। সবাই আসলো খালা খালু ভাই বোন সবাই। মা নানার সেবা যত্ন করছিলো। আমি নানীকে দেখিনাই। নানীর হাতের পিঠা পায়েস কখনো খাইনি। নানী কি জিনিস তা আখি দিয়ে কখনো দেখার সৌভগ্য হয়নাই। আমার নানা একা অনেক বছর কাটিয়েছেন। আমার নাানার মৃত্যুর সময় আমার মা পাসে ছিলেন। মায়ের কোলেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




