
ছবিঃ আপনজন
আমি হেলথ টেকনোলজিতে ভর্তি হয়েছি। হাড়ি তলা মেছে উঠেছি। আমাকে এবং তুহিন কে এক রুমে দেওয়া হল। তুহিন খুব সাধারণ মেধাবী হিসেবি ছেলে আমরা একই কলেজে পড়ি একই সেশনে। আমি সিগারেট খাই এটা তুহিন পছন্দ করতো না। রুমে জ্বালালে তুহিনের খুব খারাপ লাগত। দুইজনে সকালে উঠে কলেজের ড্রেস পরে কলেজে যাই। ক্লাস শেষে আবার মেছে ফিরি। একটা কিছু খেলে ভাগ করে খাই। দোকানে থেকে কিছু কিনে খেলে সেটাও ভাগ করি সমান সমান টাকা।
কলেজ থেকে ফিরে ছাদে দারিয়ে থাকি। একটা ছেলে আমাদের সেশনের ক্লাস শেষ করে আমাদের মেছের পাসের রাস্তা দিয়ে হাতে সিগারেট ধরিয়ে যায়। আমি মনে মনে ভাবলাম কাল ঐ ছেলেটার সাথে পরিচয় হবো। পরের দিন কলেজ গিয়ে মনে মনে খুজলাম পাইলাম না সবাই নতুন একদিনের দেখাতে এভাবে পাওয়া খুব কঠিন। ক্লাস শেষ করে তুহিনের সঙ্গ ত্যাগ করে ছেলেটার জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করলাম। দেখা হলো না।পরের দিন ১৪ ফেব্রুয়ারী বিকেলে ঘুড়তে যাওয়া হবে এরকম স্লোগানে কলেজ এর সামনে অনেকেই হাজির হলাম।
সঈদের সাথে আমার প্রথম দেখা হলো।আমরা সবাই পৌর পার্কে যাওয়া উদ্দেশে রওনা হলাম রিক্সা যোগে। সাঈদ আর আমি এক সাথে রওনা দিলাম। পৌর পার্ক ঘুড়ে আমরা রেল স্টেশন দেখতে গেলাম। রেল লাইনে হাটলাম। দুধ দিয়ে মালাই চা খেলাম। পড়ন্ত বিকেল বেলা খুব সুন্দর মুহুর্ত উপভোগ করলাম। সাঈদ তার আন্টির বাসায় থাকতো তাই বিদায় নিয়ে মেছ এ ফিরলাম।
২ নং গ্যালারিতে বসে আজ মোটামুটি সবাই উপস্থিত। লক্ষ্য করলাম ব্লুটুথ চালু করে একে অপরকে পেয়ার পাঠাচ্ছে। আমিও একটু চেষ্টা করলাম। ব্লুটুথ চালু করে সার্চ করলাম অনেকই চালু করে রাখছে। পরিচয় গোপন রেখে একজন আরেকজনকে ছবি পাঠাচ্ছে। এর মধ্যে কিছু সহপাঠি মেয়ে নাম দিয়ে ব্লুটুথ চালু করে বোকা বানাচ্ছে। আমি মেয়ে নাম দেখে পেয়ার পাঠালাম। পেয়ার গ্রহণ হলো। ছবি লেনদেন হচ্ছে। খেয়াল করে দেখলাম পিছনের একটা ছেলে ব্লুটুথ করতেছে। আমি অন্য দিকে ঘুরে ওর পিছনে দাড়ালাম ওর পাসে বসেই ছবি পাঠালাম।বন্ধু ধরা খেয়ে গেল।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




