400 বছরের ঐতিহ্যবাহী আমাদের অতি প্রিয় এই রাজধানীকে আমরা আরো অনেক সুন্দর স্বাস্থকর এবং অনেকাংশে আন্তর্জাতিক মানের দেখতে চাই। অত্যন্ত দু:খের সাথে বলতে হচ্ছে বিভিন্ন নির্বাচিত মেয়রগনের কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু লক্ষ্য করেছি যা সত্যিই বেদনাদায়ক। একটি আধুনিক যুগের গতিশীল, সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাজধানী নির্মনের কোন প্রচেষ্টাই আমরা কখনও দেখি নি। এই সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের দূরদৃষ্টি, প্রজ্ঞা, মেধা ইত্যাদির অভাব আমরা লক্ষ করেছি। এ ছাড়া একটি রাজধানীর মেয়র হবার জন্য যে সাংস্কৃতিক ব্যাকগ্রাউন্ড এবং উচ্চশিক্ষার দরকার তারও যথেষ্ট অভাব আমরা দেখেছি। নেতিবাচক রাজনীতি আর সস্তা জনপ্রিয়তার রাজনীতি করে অন্তত একটি আধুনিক সমাজের নগরীর মেয়র হওয়া যায় না। রাজনৈতিক সরকারগুলো তাদের মেয়র নির্বাচনে সব সময়ই অর্বাচীনতার পরিচয় দিয়ে এসেছেন। কারণ তাঁদের নীতি নিধর্ারকগনেরও এ বিষয়ে ঘাটতি ছিল বা আছে আমার ধারণা। ফলে আজকের এই অবস্থায় আমরা এসে পৌছেছি।
বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এব অবিস্মরণীয় নজির স্তাপন করছেন বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। আমরা আশা করবো এই কার্যক্রম তাঁরা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাবেন এবং সুন্দরও যানজটমুক্ত একটি রাজধানী উপহার দেবেন।
আমার মতে রাজধানীর সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে স্যানিটেশন। প্রয়োজনীয় টয়লেট নির্মিত হয় নি। যাও বা দু একটি আছে তাতে টোল আদায় করা হয়। ফলে শ্রমজীবি দরিদ্র মানুষেরা এগুলি ব্যবহার থেকে বিরত থাকে। সিটি কর্পোরেশন কি এতই গরিব যে টয়লেট থেকে টোল আদায় করতেই হবে? টোল তো অনেক জায়গা থেকেই আপনারা পান। এই সার্ভিসটা কপের্ারেশনকে অবশ্যই বিনামূল্যে দিতে হবে। আপনাদের মূল কাজই হচ্ছে শহর পরিচ্ছন্ন রাখা। কারণ জনগন বিভিন্ন ভাবে নানা ধরনের কর প্রদান করে থাকেন।
ঢাকা মহানগরীর রাস্তা ভাঙাগড়ার তোঘরকি কান্ডকারখানায় যে পয়সার অপচয় হয়েছে তা দিয়ে শত শত পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা সম্ভব হতো। এটি কখনও কোন নির্বাচিত মেয়রের মাথায় এসেছে বলে মনে হয় না। আজ পর্যন্ত তাঁরা সেবা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যকার সমন্বয়টি করতে পাররেন না। এর দায়ভারটা কার? সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের না মেয়র সাহেবদের?
মনে হয় মেয়র সাহেব কিছুদিন ছুটিতে যান। আমরা সিটি কপের্ারেশন একটি "তত্ত্বাবধায়ক" দিয়ে চালাই। দেখি না কেমন হয়!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ দুপুর ১২:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




