সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মন্ত্রী হওয়ার পর পরই রেলের ‘কালো বিড়াল’ ধরার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়ে তার এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারসহ চারজন আটক হওয়ার পর রেল সংশ্লিষ্টরা তার বিরুদ্ধেই কালো বিড়াল পোষার অভিযোগ তুলেছেন। তারা বলছেন, সুরঞ্জিতের সঙ্গেই বসবাস করছে ১০ কালো বিড়াল। যারা সুরঞ্জিত রেলমন্ত্রী হওয়ার পরথেকে দুর্নীতি, লুটপাট আর বেপরোয়া দখল বাণিজ্যে তত্পর।মন্ত্রীর সঙ্গে থেকেই এই ১০ জন গত কয়েক মাসে হরিলুট চালিয়েছেন।। এই ১০ জন হচ্ছেন-জগত্ জোতি তালুকদার, হুমায়ন রশিদ তালুকদার, পিযূষ কান্তি দে, বিধান কুমার সাহা, রঞ্জিত সরকার, মোশারফ হোসেন ওরফে ফিস মোশারফ, প্রদীপ রায়, লিটন, সোহেল আহমেদ মিয়া ও আবদুল মতিন। এর মধ্যে জগত্ জোতি তালুকদার ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য।২০টিরও বেশি ছিনতাই এবং চুরির মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।রেল পুলিশ এবং রেলওয়ে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রতিমাসে মোটাঅঙ্কের মাসোহারা নেওয়ার দায়িত্ব তার।মাসের ২৫ দিনই তিনি রেলভবনে অবস্থান করেন। হুমায়ন রশিদ লাভলু সিলেট শহর নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি অপরাধীদের বস হিসেবেও পরিচিত। পিযূষ কান্তি দে পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর তার এপিএস পরিচয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সিলেটের শতাধিক লোকের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। বিধান কুমার সাহা পুলিশের তালিকাভুক্ত অপরাধী। বিএনপি আমলের পুরো সময় পলাতক ছিলেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রকাশ্যে আসেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মন্ত্রী হওয়ার পর তার ভাগ্য খুলে যায়। রঞ্জিত সরকার সিলেটের টিলাগড়ে গোপাল জিউর মন্দিরের কোটি টাকার সম্পত্তিবিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার প্রধান কাজ হচ্ছে মন্ত্রীর বিফ্রিংয়ের সময় তার পেছনে দাঁড়িয়ে টিভি ক্যামেরার সামনে পোজদেওয়া। মোশারফ হোসেন ওরফে কালা মোশারফের দায়িত্ব হচ্ছে ১৭০টি জলমহালের দেখাশোনা করা। এসব জলমহাল বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। এছাড়া তিনি দিরাই ও শাল্লা থানায় নেতাকর্মীদের কারও নামে জিডি কিংবা মামলা হলে সেটা দেখাশোনা করেন।প্রদীপ রায় সিলেট এলাকার কাবিখা ও টিআরের বরাদ্দ নিয়ন্ত্রণ করেন। এক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তিনি প্যারালাল দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রীর পিএ লিটন আসল পরিচয় গোপন রেখে এপিএস পরিচয়ে সুনামগঞ্জ এবং আশপাশের থানা এলাকায় সড়ক ও জনপথে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করেন। সোহেল আহমেদ জমির কাগজপত্র জালিয়াতির বিষয়টি দেখাশোনা করেন। এছাড়া মামা পরিচয়ে মন্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি দেখাশোনা করেন আবদুল মতিন।
সুরঞ্জিতের সঙ্গে বসবাস করছে ১০ কালো বিড়াল।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।