ইংল্যান্ডে ফুটবল খেলায় ম্যাচের সেরা নৈপুণ্যের স্বীকৃতিতে শ্যাম্পেনের বোতল পুরস্কার দেয়ার রীতি বহুদিনের। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগেও এ রেওয়াজ চালু ১৯৯২ সালের প্রথম আসর থেকেই। কয়েক দিন আগে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের সঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটির ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দারুণ নৈপুণ্যে ম্যাচজয়ী দুই গোল করেন ম্যানসিটির আইভরিয়ান তারকা ইয়াইয়া তোরে। এতে ৪৪ বছর পর প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা জয়ের সুযোগ সামনে আসে ম্যানচেস্টার সিটির। খেলা শেষে এ ম্যাচের সেরা খেলায়াড় ইয়াইয়া তোরেকে শ্যাম্পেনের বোতল পুরস্কার দেওয়া হয় । কিন্তু ইংলিশ ফুটবলে সুদীর্ঘ দিনের প্রথা সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি স্মারক শ্যাম্পেনের বোতলটি তিনি গ্রহণ করেননি ।ধর্মপ্রাণ মুসলমান ইয়াইয়া সতীর্থ জোলিয়ন লেসকটের কাছে শ্যাম্পেনের বোতলটি ফিরিয়ে দিয়ে বলেন- ‘এটা তুমি রাখো। আমি মুসলমান, আমি মদ খাই না।’ ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে বছরে সবচেয়ে বেশি আড়াই কোটি ডলার বেতন তোলা ইয়াইয়ার এ ঘটনা ইংলিশ মিডিয়া ও ইংল্যান্ডে ফুটবলের কর্তাব্যক্তিদের নাড়া দেয়। তারা ভাবছেন রীতি বদল করে এমন খেলোয়াড়দের শ্যাম্পেইনের বদলে ক্রেস্ট দেওয়া হবে যাদের ধর্মীয় বা অন্য কারণে মদ পানে নিষেধাজ্ঞা আছে । এ নিয়ে প্রিমিয়ার লীগের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, শ্যাম্পেন সাধারণত এক লোভনীয় পুরস্কার।তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের বিজ্ঞজনদের সঙ্গে পরামর্শ করবো।বিষয়টি গুরুত্বের চোখে দেখছেন নিউক্যাসল ইউনাইটেড ম্যানেজার এলান পারডিউ। ডেইলি মেইলকে পারডিউ বলেন, ‘আমার দলেও এমন খেলোয়াড় আছে, যার কাছে ধর্মটা অনেক বড় বিষয়। আর ইংল্যান্ডজুড়ে খেলোয়াড়ের এ সংখ্যাটা কম নয়। ধর্মাচার পালনে তাদের সুযোগ-সুবিধা দেয়াটাও জরুরি।’ নিউক্যাসল ইউনাইটেডের সেনেগালিজ তারকা দেম্বা বা, পাপিস সিসে এবং হাতেম বেন আরফা জীবনাচারে ধর্মাচারে মুসলমান। এদের কথা বিবেচনায় রেখে সমপ্রতি নিউক্যাসল ইউনাইটেড তাদের স্টেডিয়ামে প্রতিষ্ঠা করেছে আলাদা নামাজের ঘর। প্রিমিয়ার লীগে নিউক্যাসলের সেদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী দলটিতেও আছেন একাধিক মুসলিম। ইংলিশ লীগে ম্যানচেস্টার সিটি দলে ইয়াইয়া ছাড়াও কোলো তোরে, ফরাসি সামির নাসরি ও বসনিয়ান স্ট্রাইকার এডিন জেকো ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
ধর্মের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিলনা ইয়াইয়া তোরে ।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।