হঠাৎ অতিথি পাখির টানে ছুটে এলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনা । শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। এ সময় প্রশাসনিক ভবনের সামনের লেকে বাইনোকুলারের মাধ্যমে অতিথি পাখিন দেখেন তিনি। মজিনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের কর্মকর্তা, নিরাপত্তা কর্মকর্তারাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ।
খুব নিকট থেকে অতিথি পাখি দেখে বিস্মিত হন পাখি প্রেমিক ড্যান ডাব্লিউ মজিনা । জলাশয়গুলোতে পাখির বিচরণে দেখে মুগ্ধ হন তিনি। এসময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও প্রশংসা করেন তিনি। পরে তিনি প্রীতিলতা ও জাহানারা ইমাম হল সংলগ্ন আরো একটি লেক পরিদর্শন করেন। এছাড়াও তিনি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টার পরিদর্শন করেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আকস্মিক সফর প্রসঙ্গে অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজ সাংবাদিকদের জানান, ছুটির দিনে অতিথি পাখি দেখতে ক্যাম্পাসে আসেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনা । প্রতিবছরের তিনি বিভিন্ন জায়গায় অতিথি পাখি দেখতে যান। এর অংশ হিসেবে তিনি জাহাঙ্গীরনগরেন পাখি দেখতে এসেছেন। তবে এটা তার ব্যক্তিগত সফর বলে জানান তিনি। মজিনা সঙ্গে থাকা দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, স্যারের এটা ব্যক্তিগত সফর। এজন্য তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য হিসেবে প্রতিবছর উত্তরের শীত প্রধান দেশ রাশিয়ার সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, চীনের জিনজিয়াং ও ভারত মহাসাগর থেকে আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আসে অতিখি পাখি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে।
উল্লেখ্য এর মধ্যে সরালি, ছোট জিড়িয়া, বামুনিয়া হাঁস পচার্ড, ফ্লাইফেচার, গার্গেনি, ছোট জিড়িয়া, লালমুড়ি, মুরহেন, খঞ্জনা, নর্দান পিনটেইল, জলপিপি, নাকতা, চিতাটুপি, ছোট লাল গুড়গুটি, কোম্বাডাকসহ প্রায় দেড়শতাধিক প্রজাতির অতিথি পাখি আসে। ক্যাম্পাসে প্রতিবছর শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাখির প্রজাতির সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে জলাশয়গুলোতে কয়েক হাজার সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে।