বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে যেটাকে হাস্যকর নির্বাচন ছাড়া আর কিছু বলার জনগণের ভাষা নেই। শুধু আওয়ামীলীগ নয় বিএনপিও ১৯৯৬ সালে এ রকম একটি হাস্যকর নির্বাচন করেছিল। কিন্তু তাই বলে কি আওয়ামীলীগও সেই পথ অনুসরণ করবে? অধিকাংশ জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে সংবিধানকে পুঁজি করে বিব্রতকর একটি নির্বাচন উপহার দিতে যাচ্ছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো আশা নেই বরং হতাশার ছাপ দেখা যাচ্ছে। তারপরেও ‘সংবিধান’কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর সরকার। কিন্তু জনগণের মধ্যে একটিই প্রশ্ন সংবিধান কার জন্য? ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী-এমপিরা স্বেচ্ছায় তাদের সম্পদের তথ্য ও মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামায় জমা দিয়েছে। নিয়মানুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করেছে। এরপর কয়েক দিন ধরে গণমাধ্যমে কয়েকজন মন্ত্রী-এমপির অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রকাশিত হতে থাকে। এ নিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এসময় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা প্রার্থীদের হলফনামা জনসমক্ষে প্রকাশের ব্যাপারে আপত্তি জানান বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে। তারপর হঠাৎ করে নির্বাচন কমিশন তার ওয়েবসাইট থেকে হলফনামা মুছে ফেলে। পরে অবশ্য অন্য আইপি (ইন্টারনেট প্রোটেকল) অ্যাড্রেস দিয়ে হলফনামা প্রকাশের লিঙ্ক দেয় তারা। কিন্তু ওই লিঙ্কে গিয়ে সংসদীয় আসন ও প্রার্থীদের নাম পাওয়া গেলেও হলফনামা ডাউনলোড করা যায়নি। আওয়ামী লীগের আপত্তির মুখে নির্বাচন কমিশন যে এটা করেছে তা কাউকে বুঝতে বাকী নেই। নির্বাচন কমিশনকে মনে রাখতে হবে ভোট দিয়ে জনগণ যাঁদের নির্বাচিত করবে, তাঁদের সম্পর্কে জানার অধিকারও নিশ্চয়ই জনগণের আছে। রোববারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা পর্যবেক্ষক না পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশকে এ নিয়ে তেমন কোনো এ নিয়ে বিব্রত বা উদ্বিগ্ন দেখা যায়নি বরং তারা বলছে বিদেশি পর্যবেক্ষক না এলেও কোনো সমস্যা নেই। তাদের কথা শুনে কোনো মানুষের বুঝতে বাকী নেই যে, তারা কোনো দলের এজেন্ট বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে কি না। আমরা মনে করি প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য প্রকাশের পর ক্ষমতাসীন দলটির আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন যখন সেই তথ্য লুকানোর উপায় খুঁজতে থাকে, তখন দেশের জনগণের আর বুঝতে বাকী থাকে না যে তারা কতটা নিরপেক্ষ। আমরা আশা করি সংবিধান যেহেতু জনগণের জন্য, সেহেতু সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। অধিকাংশ জনগণের মতমতকে বাদ দিয়ে কোনো স্ববিরোধী বা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেবে না সরকার ও নির্বাচন কমিশন। এ ধরনের নিয়ম রক্ষার নির্বাচন জাতি আশা করে না। দরকার হলে দেশ ও জাতির কথা বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টের পরামর্শ নিতে পরত। কিন্তু তারা তা করেনি।
আলোচিত ব্লগ
আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'
আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক- এর নুডুলস
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
ক
একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???
কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???
আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন