অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল সাহেব দায়িত্ব নেয়ার সময় ঘোষনা করেছিলেন, খেলাপি ঋন তিনি কমাবেন। তিনি কথা রেখেছেন। এক বছরে তিনি খেলাপি ঋন কমিয়েছেন। কিন্তু যেভাবে কমিয়েছেন তাকে কি কথা রাখা বলে? এতে দেশের লাভ হল না ক্ষতি?
আগে যেখানে ৩ মাস ঋনের কিস্তি না দিলে খেলাপি ঋন বলা হত, সেটা পর্যায় ক্রমে ৬ মাস, ৯ মাস, এখন এক বছর করা হয়েছে। এতে করে অনেক খেলাপি ঋন এখন ভাল ঋনে পরিনত হয়েছে শুধু আইন পরিবর্তনের ফলে। বাস্তবে খেলাপি ঋন কমেনি।
আবার প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋন অবলোপন করে হিসাব থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। মানে ঐ টাকাটা আর হিসেবে নেই। যদিও আদায় হয়নি। এভাবে তিনি খেলাপি ঋন কমিয়েছেন। ওনাকে এই ব্যপারে স্মার্ট বলতেই হবে। এ যেন মাথা ব্যথায় মাথা কেটে ফেলে সমাধান।
তবে এত কিছুর পরেও কাগজে কলমেও গত বছরের চেয়ে খেলাপি ঋন বেড়েছে ৪২০ কোটি টাকা। ১৮ সালের ডিসেম্বরে যেখানে খেলাপি ঋন ছিল ৯৩৯১১ কোটি টাকা, সেখানে ১৯ এর ডিসেম্বরে খেলাপি ঋন ৯৪৩৩১ কোটি টাকা। এই পরিমান ৪০০০০ কোটি টাকা অবলোপন করার পরেও। তো বাস্তবে খেলাপি ঋন কত বেড়েছে তা হিসেব করতে পারছেন কি?
এত কিছুর পরেও তিনি নাকি সেরা অর্থমন্ত্রী। আচ্ছা এই খেলাপি ঋন উদ্ধারে তার পদক্ষেপ কি ছিল? তার ফালাফলই বা কি? এই টাকাগুলো কারা নিয়ে গেল? তারা কি রাষ্ট্রের চেয়ে বেছি শক্তিশালী? নাকি রাষ্ট্রযন্ত্রের মধ্যের মানুষগুলো এর সাথে জড়িত?
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১