বাড়ি ওয়ালার কাছে বাড়ি ভাড়া মউকুফ চাই,আমরা ব্যাংক, এন জি ও'র কাছে ঋন মউকুফ চাই, কম্পানীগুলোর কাছে হাসপাতাল, পি পি ই ও ত্রান চাই। কিন্তু যে সরকার ট্যাক্সের বিনিময়ে আমাদের যে কোন পরিস্থিতিতে সাহায্য করতে দায়বদ্ধ, তার কাছে কিছুই চাই না।
তার পরেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন খাতের জন্য প্রনোদনা ও বরাদ্দ দিয়েছেন।
১। ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৯% সুদে ৩০ হাজার কোটি টাকার ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা দেওয়া হবে। যার অর্ধেক সুদ সরকার বহন করবে।
২। ক্ষুদ্র (কুটির শিল্পসহ) ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৯% সুদে ২০ হাজার কোটি টাকার ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা দেওয়া হবে। যার ৫% সুদ সরকার বহন করবে।
৩। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবর্তিত এক্সপোর্ট ডেভলপমেন্ট ফান্ডের বর্তমান আকার ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে। ইডিএফ-এর বর্তমান সুদের হার LIBOR + ১.৫ শতাংশ (যা প্রকৃত পক্ষে ২.৭৩%) হতে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে।
৪। ৫% সুদে প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্স স্কিম নামে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার একটি নতুন ঋণ সুবিধা চালু করবে।
৫। রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন/ভাতা পরিশোধ করার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি আপৎকালীন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।
৫টি প্যাকেজে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ হবে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
এগুলি সব প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা বা প্রনোদনা, যা হয়ত ভবিষ্যতে অর্থনীতিকে সচল রাখবে।
কিন্তু এই করোনা সমস্যা মোকাবেলায় অপ্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক সহায়তার অংশ হিসেবে সরকার কি করছে? স্বাস্থ্য খাতে সরকার কি করছে?
আমি যতটুকু জানি তা হচ্ছেঃ
১। সরকার চাল বিতরন করছে, সম্ভবত তা যারা বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় কার্ডধারী তাদের।
২। রোহিংগাদের জন্য প্রস্তুতকৃত চড়ে ১ লাখ মানুষ কে স্থানান্তরের ব্যবস্থা। আপাতত সেখানে কেউ যাবে কিনা সন্দেহ আছে।
বাস্তবতা হচ্ছে
১। এখন প্রায় ১ কোটি মানুষের খাদ্য সহায়তা দরকার, যা সরকার ভাবছে না।
২। পর্যাপ্ত চিকিৎসা উপকরন ও ব্যবস্থা দরকার যা নিয়ে সরকার ভাবছে না। গুটি কয় বেশরকারী উদ্যোগে সংকটে শিশির কনার মত।
৩। মানুষকে ঘরে রাখার ব্যবস্থা করা, দরকার হলে জোর করে, যা হচ্ছে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩