
আমরা দেখছি তৃতীয় বিশ্ব থেকে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তারা তাদের কালোটাকা উন্নতবিশ্বে পাচার করেন। পাচার করার প্রধান কারন দেশে তাদের এই কালো টাকার নিরাপত্তাহীনতা ও উন্নত বিশ্বে তাদের সম্পদের আইনানুক নিরাপত্তা।
এই পাচারের ফলে গরিব দেশের অর্থনীতি আরো চাপে পড়ছে। যার মধ্যে আমাদের বাংলাদেশ ও অন্যতম। কারো কারো মতে বছরে বাংলাদেশ থেকে ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়। টাকা তো আর সরাসরি পাচার হয়না, টাকার পরিবর্তে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হয়, যা আরো বেশি ক্ষতিকর। আমরা এই পাচার থামাতে পারছি না, অথবা চেষ্টা করছি না। কিন্তু থামানো উচিত।
এই সমস্যা সমাধানে আমার চিন্তায় ২টা বিষ্য এসেছে।
১। একটি সিক্রেট ব্যাংক প্রতিষ্টা করা, যেখানে টাকা রাখলে সরকার তো দূরের কথা এলিয়েন ও জানতে পারবে না কার কত টাকা আছে। সরকার বা আদালত চাইলে এই ব্যাংকে কার কত টাকা আছে তা দেখতে পারবে না। জব্দ ও করতে পারবে না।
এই সুবিধা থাকলে কারো আর টাকা বিদেশে পাঠানো লাগবে না। টাকা পাচার কমে যাবে।
২। বাংলাদেশের কোন একটি দ্বীপকে ফ্রি জোন ঘোষনা করা যেতে পারে। সেখানে যে কেউ বিনা ভিসায় এসে থাকতে পারবে বা তার টাকা সেখানকার ব্যাংকে জমা রাখতে পারবে। সরকার বা অন্য কেউ কারো টাকার হিসাব জানতে পারবে না বা জব্দ করতে পারবে না।
এতে আমাদের দেশের কালো টাকাও মানুষ সেখানে রাখবে, সাথে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে থেকেও কালো টাকার মালিকরা সেখানে ছুটে আসবে তাদের টাকা জমা রাখার জন্য বা নিরাপদে বাস করার জন্য।
এখন যেমন মানুষ কানাডার বেগম পাড়ায় যায়, তখন মানুষ এই দ্বীপে যাবে। এখানে মানুষ শুধু টাকা খরচ করবে আরামে আয়েশে থাকবে।
এতে আমদের দেশে প্রচুর বিদেশি টাকা ঢুকবে, সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকও বৈদেশিক মুদ্রায় ফুলে ফেপে উঠবে।
এই ফ্রি জোনের জন্য কিছু স্পেশাল আইন করতে হবে। এখানে অপরাধীরা আসলেও এখানে যাতে কোন অপ্রাধ করতে না পারে সেটা কঠোর ভাবে দেখতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



