
সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া ব্যকপ আলোচিত সৌদি ও পাকিস্তানের সামরিক চুক্তি নিয়ে বিভিন্ন মাত্রার বিশ্লেষন চলছে। এই চুক্তির তাতপর্য বুঝতে হলে আমাদের আগে বুঝতে হবে এই চুক্তির ফলে কার কি লাভ। কোন শক্তিকে প্রতিরোধ করতে এই জোট।
পাকিস্তানের একমাত্র দৃশ্যমান সামরিক হুমকি ভারত। এছাড়াও ইজরাইল ও আমেরিকাও পাকিস্তানের জন্য ভবিষ্যতে হুমকি হতে পারে। তবে সেটার সম্ভাবনা কম। সৌদির জন্য সামরিক হুমকি সাধারন চোখে ইজরাইল, ইরান, ইয়েমেন।
এই হুমকি মোকাবেলায় কে কতটা অন্যকে সাহায্য করতে পারবে? কার কি সক্ষমতা আছে?
পাকিস্তানের উচ্চ প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী, পারমানবিক বোমা। কিন্তু অর্থনৈতিক দূর্বলতা। অন্যদিকে সৌদির আছে আমেরিকান অস্ত্র, এবং টাকা।
ভারতের আগ্রাসন মোকাবেলায় সোদি সেনা পাঠাতে পারবে না পাকিস্তানে, তাদের সেই সক্ষমতা নেই। তবে তারা তাদের আধুনিক মার্কিন অস্ত্র, টাকা, তেল ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে পাকিস্তানের পাশে থাকতে পারবে। যেটা আসলেই পাকিস্তানের প্রয়োজন।
অন্যদিকে পাকিস্তান তার সেনাবল ও পারমানবিক অস্ত্র নিয়ে সৌদির পাশে থাকতে পারবে।
এবার দেখা যাক এই জোট আসলে সৌদি কোন হুমকি মোকাবেলায় ব্যবহার করবে? সাধারন ভাবে সবাই ভাবছে, কাতারে ইজরাইলি হামলার প্রেক্ষিতে এই চুক্তি। বাস্তবে এই জোট ইজরাইল বা আমেরিকার বিরুদ্ধে নয়। সৌদির সব অস্ত্রের নিয়ন্ত্রন আমেরিকানদের হাতে। তারা ইজরাইল বা আমেরিকার বিকক্ষে গেলীই অস্ত্র খেলনায় পরিনত হবে। কোন কাজে আসবে না। আর সৌদির আমেরিকার বিরুদ্ধে যাওয়ার সক্ষমতা নেই। আর পাকিস্তানের ও আমেরিকার বিরুদ্ধে দাড়াবার সাহস নেই। এমনকি এই জোট আমেরিকার মধ্যস্থতায়ই হয়েছে। ভারত পাকিস্তান সংঘাতের পর আসিফ মুনির ২ বার যুক্তরাষ্ট্রে সফর করেছেন। এ সময়েই এ নিয়ে দর কষাকষি হয়েছে।
তাহলে প্রশ্ন আসে কোন হুমকি মোকাবেলায় এই জোট?
সেই হুমকি হচ্ছে ইরান ও হুথি। প্রকৃতপক্ষে আমেরিকা কৌষলে ইরানের বিপক্ষে সৌদির পাশে পাকিস্তানকেও এনে দাড় করিয়েছে। হয়তো ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করতে পারে পকিস্তানকে দিয়ে ইরানে পারমানবিক হামলা করাতে আর নিজের হাঁত পরিষ্কার রাখতে।
আমার মতে এই চুক্তিতে ইজরাইল ও আমেরিকার জয় হয়েছে, সৌদি বা পাকিস্তানের নয়। কারন এর চাবি আমেরিকার হাতেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


