পীরবাবা
এইযে ভাই একটু দাঁড়ান,পীর বাড়িটা কোথা ?
সামনে যান দেখতে পাবেন,নিশান রয়েছে গাঁথা ।
লোকটি আমার সাথে এল দেখিয়ে দিতে বাড়ি ।
তারিই সাথে হেটেই দিলাম অল্প সে পথ পারি ।
ক্ষণিক পরেই দেখতে পেলাম পীরেরই দরগা ।
নিশান দেখেই শিহরিত হয়ে উঠল গা ।
হুক্কা বাবা নামটি যে তার লাগল ভীষণ বুকে ।
ভাবলাম আমি সকল ঝামেলা এবার যাবে চুকে ।
সেখানে গিয়ে পকেট হল একেবারেই ফাকা ।
খুশির চোটে তখন সেটা পরল যে ভাই ঢাকা ।
পীর বলিলেন শেষ বিচারে করবেন আমায় পার ।
দুঃখ আমার দূর করিবেন হোক সম পাহাড় ।
এইনা শুনে বেজায় খুশি পায় কে আমায় আর ।
পীরের মুরিদ হওায়াই ছিল শুধু ভাবনা তখনকার ।
একদিন পরে ওরশ শরিফ ডেকে বললেন বাবা ।
থেকে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই যায়নি তখন ভাবা ।
ওরশ শুরু হতেই বাবা করলেন ওয়াজ ।
ভাবলাম আমি এইনা হল সাচ্চা পীরের কাজ ।
ওয়াজ শুনে মোর চিন্তাগুলো হয়ে গেল গোলমেলে ।
নামাজ,রোযা ছাড়াই আবার বেহেস্ত কিভাবে মেলে ?
ওয়াজ শেষে তাকিয়ে দেখি গান ধরেছেন বাবা ।
মুখে তাহার গাঁজার ধোয়া হাতে বিশাল ডাবা ।
চারদিকেতে তাকিয়ে আমার মাথা উঠল ঘুরে ।
মুরিদরা সব টানছে গাঁজা নিজের বুকটি ভরে ।
ইতোমধ্যে জমে উঠেছে অশ্লীল নাচ গান ।
তাইতো এবার দিলাম ভোঁদৌড় হাতে হাতে নিয়ে প্রাণ ।
ভয় ছিল মোর,কি জানি কখন বাবা বলবেন এসে ।
“নে বাবা একটু সিদ্ধি খা তোকে দিলাম ভালবেসে ” ।
এক মুহূর্তে ভক্তি আমার হয়ে গেল শেষ ।
পকেট কেটেছিল ভালই এখনো আছে রেশ ।
এত সহজে কি পার হওয়া যায় পুলসিরাতের পুল ।
সব দেখে শুনে এখন আমার ভেঙে গিয়েছে ভুল ।
এখন বসে হাসি মনে করে সেই সেদিনের বোকামি ।
সেই বোকামির তরেই দেখেছিলাম পীরের ভণ্ডামি ।
এই ছিল আমার ছিল দেখা ভণ্ড পীরের অভিজ্ঞতা ।
তাই বিশ্বাস করিনা শুধু শুনে পীরের কথকতা ।
বিদ্র : এটি কোন ধর্মীয় অনুভূতি তে আঘাত দেয়ার উদ্দেশ্যে রচিত হয়নি । এটা কেবল ভন্ড পীরের একটি প্রতিচ্ছবি মাত্র । এর পরও যদি কারও অনুভুতিতে আঘাত লাগে । তবে আমি করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থী ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪০