আধশোয়া শায়লা ফোন হাতে অনেক্ষণ একইরকম ভাবে চিন্তা রত আছে। কি শুরু করবে, কি ভাবে বলবে কথাটা ? এটা কি করে বলবে ওকে ? ওকি মেনে নিতে পারবে? তার ওপর ওর পরিবার সাথে নিজের পরিবারও মেনে নিতে চাইবে না। নিজেও মেনে নিতে পারছে না। কিন্তু সুজোগ টা এমন যে হাতছাড়া করতেও মন চায় না। সে ভালো করেই জানে এরকম সুজোগ ২য়টা আর কখনো আসবে না ওর জীবনে । এখানে থেকে চলে গেলে আর কখনো দাড়াতে পারবে না নিজের পায়ে।
একবছরের একটা কোর্সে শায়লা ওব্রায়ান ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিল। দেশে ফেলে এসেছিল হবু স্বামী ইফতিকে। কিন্তু কোর্সে শেষে ওর রেজাল্ট এতো ভালো হয়েছে যে নিজেই অবাক হয়েছে। কল্পনাও করতে পারেনি যে ৪৫ জনের মধ্যে ও সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করবে। ইউনি থেকে ওকে জবে অফার দেওয়া হয়েছে। সাথে ভালো রকমের সেলারি, থাকার ফ্লাট। কিছুদিনের মধ্যে ইফতিকেও নিয়ে আসতে পারবে। কিন্তু ওরা কি মেনে নেবে শায়লার এই বাইরে থেকে যাওয়া।
??????????????????????????????????
এরপর অনেক কিছুই ঘটে শায়লা ফিরে আসে দেশে। সবাই খুশী, শায়লাও খুশী সবার সাথে। স্বামী ঘর সংসার নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পরে সে। কিন্তু মনের অগোচরে শায়লা নিজেকে খুব অসহায়া মনে করে। নিজেকে নিজের মতো করে রাখতে পারেনা, নিজের মতো করে চাইতেও পারেনা। এটাই জীবন যেখানে সবার স্বার্থে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৩:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




