somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাছে আসার গল্পে বমি

০৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বড় রাস্থায় ধুলা উড়িয়ে চলে যাচ্ছে বরের গাড়ি।
সেই গাড়িতে বসে বর ভাবছে' বিয়ে তো হয়েয়েই গেল এখন কিভাবে নতুন বউয়ের সাথে কথা শুরু করা যায়?" অনেক্ষন যাবত একই গাড়িতে তারা! কিন্তু কথা শুরুর কোন হেতু খুঁজে পাচ্ছে না। বরং বারবার একটা কৌতুক মনে পরে যাচ্ছে বরের, আর হাসছে মনে মনে।

গল্পটা এইরকম, নতুন জামাই গেছে শশুর বাড়ি।হাবাগোবা টাইপ জামাই। কথা বলার লাইন পাচ্ছে না কোন।কিছু একটা বলে কথা শুরু করা দরকার ভেবে শশুর মশাই কে বলে উঠল " বাবা কেমন আছেন? আপনে কি বিয়া করছেন?!!

যাইহোক আমার শুরুটা যেন এমন আজগুবি না হয় এর জন্য সাবধানতার সাথে পদক্ষেপ নিব এমন প্লান করছি তখন হঠান বউ বলে উঠল গাড়ি থামাও!
কি হলো জিজ্ঞেস করলাম? জবাব দেবার মত অবস্থায় নাই সে । মুখে হাত আরেক হাত দিয়ে আমায় খামচে ধরেছে । দেখে বুঝে নিতে হলো তার গাড়িতে সমস্যা হচ্ছে। যেটা চিন্তায় ছিলো না বা প্রিপারেশনও নেই নাই সেইটাই হলো । বমি করবে বউ!

আমাদের বিয়ে পুরাপুরি এরেঞ্জ মেরেজ বলতে যা বুঝায় তাই ছিলো। বিয়ের আগে একবার পাত্রীকে ফোন দিয়ে হালচাল জানা হয়েছিলো শুধু।
এর পর বিয়ে।
বিয়ের আসর থেকেই টিজিবিয়ান ছোট ভাই ব্রাদাররা ছবি তুলে কাঁপাচ্ছিলও। তাদের আবদার ছিলো জামাই বউ একেঅপরের দিকে তাকাবে।তখন তারা এই পোজে ছবি নেবে!বাট দুজনের লজ্জা যেন যাচ্ছেই না। অনেক চেষ্টা করেও কেও কারো দিকে তাকিয়ে পোজ দিতে পারছিলাম না। কি এক অদ্ভুত ব্যাপার।

তার পর কনে বিদায়ের বেলায় তো সেই কান্নাকাটি শুরু! মেয়ের কান্না দেখে কান্দে বাপ,তা দেখে মা, এর পর ভাই! সবাই কান্নাকাটি শুরু করেছে।
সাথে ছিলো জার্মানি থেকে আসা ক্রিস, সেও দেখি কান্না শুরু করল, এই দেখে আমার বড় ফুঁপিও কান্না। পুরা মহল আমাকে অপরাধী বানিয়ে ফেলল যেন এক মুহূর্তে । সবকিছুর জন্য দায়ী এই জামাই ।

যাই হোক একটা একটা দুরুক্তের মধ্যেই ছিলাম । গাড়ি থেকে নামানোর পর তাহার বমি হইলো । পাশে থাকা আমার বনের পরামর্শে মুখ ধুইয়ে দিলাম , মাথায় হালকা পানি দিলাম। মেকআপ ধুয়ে গিয়েছে । মাস আল্লাহ মেকআপ ছারাও তিনি দেখতে দারুণ । বাট কথা হলো সে আর গাড়িতে চরতে চাচ্ছেই না । নিঃশ্বাসেও সমস্যা হচ্ছে । এমন আগে আমি কখনো দেখি নাই । পেছনে থাকা অটোতে বউ উঠিয়ে নিয়ে গাড়ি ছেরে দিলাম । অটোতে আমি আমার বউ আর আমার ছোট ভাই । রাস্তা বেশি বাকি নাই । এ রাস্তায় আমার ছোট ভাই সাথে থাকলেই এনাফ ।
আমার কাঁধে তাহার মাথা ।হাতের সাপোর্ট ছাড়া থাকতে পারছে না । চুল উড়ে উড়ে লাগছে আমার কপালে।
এত কিছুর মধ্যেও আমার ভালই লাগছে ।

এই শেষ নয় এর পর তাহার অবস্থা আবার খারাপ হয় । অচেনা এক বাড়িতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় খানিক রেস্টের জন্য । সেখানে মানুষের নানা কৌতূহল । আমারা কারা ? সাথে আর কেউ নাই কেন ? জোর করে বিয়ে করছি কি না ? পালিয়ে বিয়ে করছি কিনা ? আমার ছোট ভাই ততক্ষণে ধর্য্য হারিয়ে ফেলেছে , প্রশ্ন করলেই ধমক দিচ্ছে । যেন তার বাড়ি এটা । আমি মাঝে একবার স্মরণ করিয়ে দেই বাবু আমারা কিন্তু কিন্তু ড্যাঞ্জার জায়গায় ড্যাঞ্জার অবস্থায় আছি ।

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে । এদিকে বাড়ির সবাই খুবই চিন্তিত ! বরের কার খালি আসছে । বর বউ গেল কই ? মোবাইল ও বন্ধ !
ব্যবসায়ী মানুষ আমি। বিয়ে করতে গেলেও ফোন আসবে মাস্ট ।এর কারণেই আমি ইচ্ছা করেই মোবাইল রেখে গিয়েছিলাম ।
এখন ভালই বিপাকে ।

ইতি মধ্যে বন্ধু বান্ধবরা চলে আসছে খুঁজতে খুঁজতে । অনেকটা অসুস্থ অবস্থায় তাকে নিয়েই বাড়ির পানে যাত্রা করি । বাড়ির কাছে আসতেই দেখি গেট খালি । গেটের সামনে নানা খাবারের আয়োজন । বউ আসবে নানা রেশম পালন করে ঘড়ে যাবে । বাট এখন প্রতিবেশী ছাড়া বাড়ির কাউকে পেলাম না ।
কি আর করা । নিজের দুলহান পাজা কোলে তুলে নিলাম ।
গেটের টেবিল পা দিয়ে ঠেলে বাড়িতে ঢুকলাম ।
আমার বউ নিয়ে এমন এন্ট্রি হবে কেউ ভাবে নাই ।
শারুখ খানের কোন মুভির সিন যেন ।



সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের জাতির কপালে শনি আছে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১১



একাত্তরে যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে তারা বলেছে স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখা সম্ভব না, সুতরাং ভারতের অধীন হওয়ার চেয়ে পাকিস্তানের অধীন থাকা ভালো। তারা মনে করেছে অধীকাংশ নাগরিক তাদের দলে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি কি লড়াকু সৎ এবং নিবেদিত প্রাণ নেতা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৬

হাদি কি লড়াকু সৎ এবং নিবেদিত প্রাণ নেতা ?

জুলাই আন্দোলনে তিনি প্রথম সারির নেতা ছিলেন না , তাকে কেউ চিনতো না কয়েক মাস আগে ও ।

জুলাই জংগীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

লিখেছেন গ্রু, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮



ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।

মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ৩০ দেশের দুষ্ট আমেরিকান রাষ্ট্রদুত বদলায়ে দিচ্ছে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৩



আইয়ুব পাকিস্তানকে ধ্বংস করার পর, বাংগালীদের লাথি খেয়ে সরেছে; জিয়া, কর্নেল তাহের ও জাসদের গণ বাহিনী আমাদের দেশকে নরক (১৯৭৫ সাল ) বানিয়ে নিজেরা নরকে গেছে। আমাদেরকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×