এমডি আনভীর, ধরা খেয়েছে, তাই এখন গুষ্টি উদ্ধার করতেছি। কিন্তু একদিন আগেও আমার-আপনার মতো মানুষ বছর খানেকের চেষ্টায়ও তার দেখা পেতাম না। আমরা তো নস্যি, অনেক মন্ত্রী এমপিদেরই টাইম নেই। সেখানে দশম শ্রেণী পড়ুয়া একটি মেয়ে কিভাবে এত কাছাকাছি !
মেয়েটিকে দোষি ভাবছেন!
আনভীরতো বহুৎ দূর, ওর আশেপাশে দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণীর যেসব চ্যালা-চামুন্ডা থাকে তাদের কারো নজরও যদি আপনার স্ত্রী বা বোনের দিকে পরতো, ঠেকাতে পারতেন? যদি তাদের ক্ষমতা বা লাইফস্টাইল সম্পর্কে ধারণা না থাকে তাহলে পাগলের প্রলাপ বকবেন। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। পারতেন না। টাকার ক্ষমতার কাছে সব নস্যি।
প্রত্যন্ত গ্রামে, আপনার বসতভিটার জায়গাটাও যদি তাদের কোনো বিজনেসে প্রয়োজন মনে করে তবে তাও আপনাকে ছেড়ে দিতে হবে। বছরের পর বছর নানা দপ্তরে দৌড়ালেও কেউ ফিরে তাকাবেনা। হাজার হাজার মানুষ এভাবে ভূমিহীন হয়েছে। মুখ ফুটে কেউ প্রতিবাদও করেনি।
তাদের নারীসঙ্গ সম্পর্কে ধারনা আছে ! অনেকে ইচ্ছায়, অনেকে অনিচ্ছায়! যার দিকে একবার নজর পরেছে, না বলার সুযোগ নেই।
সেখানে বাবা-মা হীন একটি মেয়ের কি-ই বা করার আছে। যারা দেশের আপার কালচার সম্পর্কে জানেন না, দয়া করে কথা বাড়াবেন না। মেয়েটিকে মরে অন্তত শান্তিতে থাকতে দিন।
সরকারের প্রথম মেয়াদে একজন প্রতি মন্ত্রীকে মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন বসুন্ধরা চেয়ারম্যান। অপরাধ- তিনি দখলের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই মন্ত্রী আর রাজনীতিতে নেই। সব হারিয়েছেন।
সেখানে এই পিচ্চি মেয়েটিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন। ভালো। সবসময় দুর্বলকেই আসামীর কাঠগড়ায় রাখি আমরা।
সব পেয়েছির বাচ্চাদের আনাগোনা সর্বত্র। এরা ঘুষ-দুর্নীতি,দখল, স্মাগলিংয়ের টাকায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। এরপরই ছোটে নারীসঙ্গের দিকে। গুলশান, বনানী, নিকেতনে এমন অজস্র বাসা রয়েছে। যদি কখনো এ সম্পর্কে না জেনে থাকেন, তবে তা আপনাদের অজ্ঞতা। এরা ফ্যান্টাসি খোঁজে। বয়স, জাত-পাতের হিসাব কষে না। ফ্যান্টাসি দরকার। এরা বুঝে গেছে দেশে টাকায় বাঘের দুধও মেলে। সেখানে নিরাপত্তাতো মামুলি বিষয়। তাই ব্যবহার শেষে ছুড়ে ফেলে দেয়। কেউ বেকে বসলে মৃত্যু।
সুগার ড্যাডি, সুগার বেবি। বাংলা অর্থ দাড়াঁয় চিনি বাবা-চিনি কন্যা.. টিনএজ মেয়েদের এসব বাবারা আখের মত চিবিয়ে ফেলে দেন। বিপরীতে মেয়েরা অর্থকড়ি হাতিয়ে নেন। শব্দটা অপরচিত লাগলেও অবৈধ পন্থায় বড়লোকদের এমন অনেক সুগার বেবি রয়েছে। বিপরীতে অল্পতেই টাকার মুখ দেখতে চাওয়া মেয়েদের রয়েছে সুগার ড্যাডি। এটা মূলত পশ্চিমা কালচার হলেও হাল আমলে ব্যাপক ছড়িয়েছে বাংলাদেশেও।
একদিকে প্রাচুর্য, অন্য দিকে প্রেম। একদিকে অঢেল অর্থ, ল্যাভিশ লাইফস্টাইল। অন্য দিকে, মাপা জীবন ! দেশে অনেক টিনএজ মেয়েদের এভাবেই ফাঁদে ফেলা হয়। কালচার এনেছি পশ্চিমা ধাচের, কিন্তু রপ্ত হয়নি। তাই বনিবনা না হলেই নানা কায়দায় তাড়িয়ে দেওয়া হয়। ক্ষেত্রবিশেষ মৃত্যু।