চাওয়াগুলো পূর্ণ কর তা তো বলিনি
চাওয়াগুলোয় শূন্যতা দাও তা কখনো চাইনি।
আমিতো বৃথা আস্ফালন করা নিস্তেজ মানব , আর তুমি
হরিণীর কাঁপা কাঁপা ভীতু অবয়বের মতো যার অন্তর
বাহিরে সে বাঘিনির ক্ষিপ্ত অনুরণনে নিঃশেষ করে আয়ুষ্কাল।
তুমি তো জানো, আর কেউ জানুক বা না জানুক
তবে কেন সীমারেখায় অধিষ্ঠিত কর তোমার চাপিয়ে দেয়া ইচ্ছেদের?
অতলান্তিক প্রেমে আবিষ্ট ঘোরে যখন স্বপ্নদের নিয়ে সুখ খেলায় মত্ত হই,
তুমি তখন জল ঢেলে আমার জেগে থাকা ঘুম ভাঙাও।
দগদগে অতীত হয়ে যাওয়া ঘা শুকোতে একটুতো সময় দাও
যা দিয়ে তুমি ব্যর্থতার গ্লানি নামের শব্দগুলোকে জ্বলজ্বলে করেছো,
আমি সাধারণ্যে পরিপূর্ণ, নিতে পারিনি সয়ে এখনো সে ব্যথা,
তোমার একক অধিপতি নই আমি, এতটুকু ছেদ ফেলেছো যেদিন, সেদিন থেকেই ভীত সন্ত্রস্ত আমি অস্থির থাকি।
অবিশ্বাস নয়, এ এক অজানা ভয়, যার আজীবন সদস্য করেছো এই আমাকে।
আমার নিঃশ্বাসের পাথর আওয়াজ তোমার কান অব্দি যদি একবার পৌঁছাতো, তুমি টের পেতে সমুদ্রের ঢেউ কত তুচ্ছ!
আমি ভাসমান কচুরিপানা ভেবে তোমায় আঁকড়ে ধরিনি,
নদীর বুকে বিলীন হওয়া গ্রামও ভাবিনি,
তোমায় আমি নিঃশেষ হওয়া অব্দি হৃদয়ে বেঁধে রাখবো।।