নিমগ্ন বানভাসিরা খড়কুটোও আর খুঁজে পায় না,
তোমার রাশভারী চোয়ালের কাছে হেরে গেছে আমার খড়কুটো খোঁজার শেষ সম্ভাবনা,
এখন যদি ডুবে যায় আমার গলদেশ, তারপর নিশ্বাস নেয়ার যন্ত্রটা, আমায় দোষ দিও না।
নিথর দেহটায় তখন তুমি তোমার পছন্দমতো নানা ফুল দিয়ে সাজাতে পারবে,
কিন্তু কখনো আর সেখানে শ্বাসের আনাগোনার শব্দ পাবে না।
একটা হৃদয়ে প্রাণ দিয়ে, তা ছিনিয়ে নেয়ার পুরো গল্প আমি পড়ে ফেলেছি,
সেখানে প্রতি পৃষ্ঠার ভাঁজে শুধু ভাঙনের খেলা চলতো,
ধ্রুবতারারা জ্বলে, তোমার জাহাজের পথ দেখাবে,
আমি তো তারাপতনের দলের মতো একবার খসে গিয়ে নিঃশেষ হয়ে গেছি,
নিঃশব্দে খোলসে লুকানো শামুকের মতো এখন শুধু প্রস্থানের আয়োজনে ব্যস্ত,
কখনো আর পাবে না কাঁটা বিছানো পথ
প্রশস্ত পথে হাজারো প্রহরীরা পাহারায় রত থাকুক, যাতে অযাচিত আনাগোনা বন্ধ হয়ে যায় চিরতরে।